ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
"ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক বিনিয়োগ দাবি তরুণদের" এই স্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল নয়টায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে একশনএইড বাংলাদেশ ও উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস) এর সহযোগিতায় “ফান্ড আওয়ার ফিউচার”(আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক বিনিয়োগ) এর দাবিতে ফুলবাড়ী প্রেসক্লাব ও উপজেলা প্রেসক্লাব ফুলবাড়ীর সামনে গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জলবায়ু সংকট নিরসন, ন্যায় বিচার দাবি ও জনগণকে সচেতন করতে একশনএইড বাংলাদেশের সহায়তায় এক্টিভিস্টা নেটওয়ার্ক এর ১১ টিরও বেশি যুব সংগঠনের ৪৫ জন তরুণ গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইকে অংশ করে। একই সময়ে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, সুনামগঞ্জ,ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেট, নীলফামারি, জামালপুর ও বরগুনাসহ বাংলাদেশের ২৬টি জেলায় এবং ৭টি লোকাল ইয়ুথ হাবে তরুণ এক্টিভিস্টা স্বেচ্ছাসেবকরাও সংহতি প্রকাশ করে।
এ সময় তরুণেরা দলমত নির্বিশেষে সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সাথে নিয়ে জলবায়ু সংকট নিরসন, ন্যায়বিচার দাবিতে ফেস্টুন ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে প্রকাশ পায় পৃথিবীকে জলবায়ু সংকট থেকে বাঁচিয়ে তোলার আকুতি। প্রতিবাদের অক্ষরে লিখা দাবি জীবাশ্ম জ্বালানীতে বিনিয়োগ বন্ধ করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা,জলবায়ু সুবিচার চাই এ ধরনের ¯েøাগান।
তাছাড়াও যুবরা বলেন, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানীতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে, তাদের নব্য ঔপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে আমাদের এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমণকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানীতে অর্থায়নের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে যার প্রভাব পড়ছে মূলত দক্ষিণের জলবায়ু-সংরক্ষিত দেশগুলোতে। এটি অনুন্নত দেশগুলোতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ সম্প্রদায়ের কাছে তাদের পরিবেশগত ঋণ বহুগুণ বাড়িয়ে তুলছে। আমরা বাংলাদেশের তরুণরা তাই সর্বোচ্চ কার্বন নির্গমণকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও দেশগুলোর কাছে অবিলম্বে জীবাশ্ম-তহবিল বন্ধ করা সহ জলবায়ু সংকটের কারণে ঝুঁকিতে থাকা সম্প্রদায়গুলোর জন্য লস এন্ড ডেমেজ এ অর্থায়ন নিশ্চিত করার দাবি জানায়। একই সাথে জীবাশ্ম জ্বালানির কোম্পানি ও বাণিজ্যিক কৃষির মত ক্ষতিকারক এরিয়াগুলোতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি জানায়।
গ্রীণ ভিলেজ ফাউন্ডেশন কুড়িগ্রাম এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আব্দুর রশিদ জানান, আমরা যদি এখনই সোচ্চার না হই তবে নিকট ভবিষ্যতে আমাদেরকে বড় দূর্যোগ ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে, বাস্তচ্যুত হতে হবে আমাদের মত দেশগুলোর লক্ষাধিক মানুষকে। বক্তব্য রাখেন, উদ্দীপন ইয়ূথ গ্রুপের সভাপতি শাহীন আলম, শাকিলা আক্তার শান্তা এ্যাক্টিভিষ্টা, উদয়াঙ্কুর সেবা সংস্থা (ইউএসএস) এর ফুলবাড়ী শাখার প্রোগ্রাম অফিসার লুৎফর রহমান রাফিন, একশনএইড বাংলাদেশের প্রতিনিধি ইন্সপিরেটর জিনাত রহমান মেলোডী প্রমূখ।