ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ব্রিজ নির্মাণের ৫ মাসের মধ্যেই কামানডুবা ঘাটে নির্মিত ব্রিজটির দু'পাশের অ্যাপ্রোচে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ধসে পড়েছে ব্রিজটির দু'পাশের ব্লক। অনুপযোগী হয়ে পড়েছে দুপাশে হ্যারিং বন্ড রাস্তা।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রুরাল ব্রিজস কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ৭২ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি গার্ডার ব্রিজটি ৪ কোটি ৪১ লাখ ৫৬ হাজার ৩'শ ৩৯ টাকা চুক্তি মূল্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউনিক কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড ও মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড আরএস এন্টারপ্রাইজ ২০২০ সালের ৩০ জুলাই কাজ শুরু করে। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০২২ সালের ৫ মার্চ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্রিজটির নির্মাণ কাজের সময় বর্ধিত করে নিয়ে ২০২৩ সালের জুন মাসে নির্মাণ কাজ শেষ করে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রিজের গাইড ওয়াল নির্মাণের কাজ, কোনো ধরনের ভিত্তি না বসিয়ে আলগা মাটিতে ওয়াল নির্মাণ, ব্রিজের নিচ থেকে মাটি খনন, ব্রিজের দু'ধার ও রাস্তা নির্মাণে মাটি দাবানোর জন্য সঠিক ভাবে রোলার ব্যবহার না করায় বর্ষা মৌসুমে আলগা মাটি দেবে গিয়ে ধসে পড়েছে ব্রিজের দু'পাশের বসানো ব্লক গুলো। ব্রিজের দুই পাশে নির্মিত হ্যারি বন্ড দেবে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ ব্রিজ নির্মাণকালীন সময়ে ঠিকাদারের লোকজন ও উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের নিকট এ বিষয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে নিম্নমানের কাজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্মাণকালীন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্থানীয়দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের সংবাদ প্রকাশ হবার পরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে নিম্নমানের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এই ব্রিজের কাজের জামানতের বিল এখনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়নি। আমারা জামানতের টাকা ফেরত দেওয়ার আগেই সব ঠিক ভাবে বুঝিয়ে নিবো। তিনি আরও জানান, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অবগত করা হয়েছে।