গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
সব শ্রেণির ক্রেতার প্রতিদিনের বাজার তালিকায় থাকে আলু। সেখানে বাজারে আলুর দামই চড়া। পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনার অজুহাতে চড়া দাম হাঁকাচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। বাজার মনিটরিংয়ে নিয়োজিত ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করলেও মানা হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত মূল্য। এবার রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আলুর বাজার সহনীয় রাখতে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম লেবু নিয়েছেন ব্যতিক্রম উদ্যোগ। তিনি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন আলু।এতে ক্রেতাদের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না।
আলু কিনতে আসা সদর ইউনিয়নের মোখলেছার, আসলাম মিয়া, মালতি রানীসহ অন্য ক্রেতারা জানান, ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে কম দামে আলু বিক্রি হওয়ায় তারা খুশি হয়েছেন। প্রতি কেজি আলু ১৯-২০ টাকা কম দামে কিনতে পারছেন। অন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। ক্রেতারা আশা করেন, প্রশাসনের এমন তদারকি অব্যাহত থাকলে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আসবে।
গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম লেবু জানান, আলু নিত্য পণ্যের মধ্যে একটি। গঙ্গাচড়ায় পর্যাপ্ত আলু উৎপাদন হলেও সিন্ডিকেট চক্রের কারণে বাজারে আলুর দাম বেড়েছে। ভোক্তাদের সুবিধার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের সহযোগিতায় এ উদ্যোগ নিয়েছি। বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে। এ কার্যক্রমে সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি ৩৬ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি আলু নিতে পারছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, সাধারণ মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সরকারের এ নির্দেশনা রয়েছে। নিত্য পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে আমরা মাঠ পর্যায়ে নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। এরই অংশ হিসেবে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি শুরু হয়েছে।