নাগেশ্বরী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সুবিধাভোগী রেহেনা বেগম। অভিযোগে জানা যায় উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের গাগলা মন্ডলটারী এলাকার আশরাফুল আলমের স্ত্রী রেহেনা বেগম মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতাধীন মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন ওই ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য জাহানারা বেগমের হাতে জমা দেন। পরে সে আবেদন মঞ্জুর হলে তা ভাতাভোগীর তালিকায় ওঠে। কিন্তু মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা ওই ভাতাভোগীর মোবাইলের বিকাশ নম্বরে না যাওয়ায় ভাতাভোগীর স্বামী আশরাফুল আলম খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাদের ভাতার টাকা অভিযুক্ত মহিলা ইউপি সদস্য জাহানারা বেগমের স্বামীর ব্যাক্তিগত মোবাইলের বিকার নম্বরে দীর্ঘদিন থেকে প্রতিমাসে নিয়মিত ৮০০ টাকা করে গিয়েছে। কিন্তু ভুক্তভোগী ভাতাভোগীকে কোনো প্রকার ভাতার টাকা প্রদান করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ভাতাভোগী রেহেনা বেগমের স্বামী আশরাফুল আলম জানায়, মহিলা মেম্বার পরিকল্পিতভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে আমাদের মোবাইল নম্বরের স্থলে তার স্বামীর মোবাইল নম্বর দিয়ে নিয়মিত ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। অথচ আমরা বারবার মোবাইল নম্বর পরিবর্তনের জন্য তার কাছে গেলে তিনি মোবাইল নম্বর পরিবর্তন না করে টালাবাহানা করছে। অভিযুক্ত মহিলা ইউপি সদস্য জাহানারা বেগমের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন আমি কিছু বলব না। চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন।
নেওয়াশী ইউপি চেয়ারম্যান মাহাফুজার রহমান মুকুল বলেন আমি আর কী বলব। ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেন। তিনি এটা ঠিক করে দিতে চেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার আহাম্মেদ বলেন, এটা আসলে আমি আজকে (রোববার-২৯ অক্টোবর) সকালবেলা অভিযোগটা পেয়েছি। অভিযোগটা এখনও তদন্ত করিনি বাট, চেয়ারম্যান সাহেবকে দায়িত্ব দিয়েছি যে বিষয়টি আমাকে জেনে জানানোর জন্য। প্রাথমিকভাবে যেটা জানতে পেরেছি যে উনি (মহিলা ইউপি সদস্য) উপজেলায় এসেছেন, যে এটা ভুল হয়েছে, এটা সংশোধন করছেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে বসে।