দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরে পিকেটিং ছাড়াই ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলের ডাকা সকাল-সন্ধ্যার হরতাল।
হরতালের পক্ষে পিকেটিংসহ কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। হরতাল চলাকালীন জেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়সহ শহরের মোড়ে মোড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। হরতাল চলাকালীন দিনাজপুরে সীমিত সংখ্যক ইজিবাইক মোটর সাইকেল চলাচল করলেও বন্ধ ছিলো বাস ট্রাক চলাচল। পিকেটিং না থাকলেও শহরের বেশীরভাগ দোকানপাট ছিলো বন্ধ।
এদিকে দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলালকে আটক করেছে কোতয়ালী পুলিশ। রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় জেলা কালেক্টরেট স্কুলের সামনে থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।
মোফাজ্জল হোসেন দুলালের সহধর্মীনি রিনা ইয়াসমিন জানান, ঢাকায় দলের মহাসমাবেশে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। রোববার সকাল ৬টায় বাসায় আসেন। ঘন্টা দেড়েক পরে ফ্রেশ হয়ে আবার বের হয়ে যান। বাড়িতে জানান পার্টি অফিসে যাচ্ছেন। এসময় তাকে মোটরসাইকেলে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে আসেন রিয়াজুল নামের দলের এক কর্মী। বাসায় মুঠোফোন ছেড়ে এসেছিলেন তিনি। শহরের জেলমোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে দুলালকে নামিয়ে দিয়ে রিয়াজুল ফোন নিতে বাসায় আসেন। পরে রিয়াজুলের কাছে জানতে পারেন পুলিশ তাঁকে আটক করে ডিবি অফিস নিয়ে গেছে।
দলের কয়েকজন কর্মী জানান, সকাল সাড়ে আটটায় দলীয় কার্যালয়ে আসেন দুলাল। অল্প সংখ্যক নেতাকর্মী ছিলেন সেসময়। তাদের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে পুলিশ দুলালকে দলীয় কার্যালয় থেকে চলে যেতে বলেন। পরে তিনি নেতাকর্মীদের বিদায় দিয়ে নিজেও কার্যালয় ত্যাগ করেন। মুঠোফোনে রিয়াজুল বলেন, বাসা থেকে ফোনটা নিয়ে বড় মাঠের রাস্তা ধরে পার্টি অফিসে যাচ্ছিলেন তিনি। কালেক্টরেট স্কুলের সামনে দুলালকে ১০-১২জন পুলিশ সদস্যের সাথে আলাপ করতে দেখেন। এসময় রিয়াজুলকে চলে যেতে বলে দুলালকে নিয়ে যান পুলিশ।
পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, তাঁকে আটক করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এদিকে দিনাজপুর শহরে হরতাল বিরোধী শান্তি সমাবেশ ও মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের মিছিল নেতা কর্মীরা।