লালমনিরহাট প্রতিনধি:
লালমনিরহাটে হরতালে বিএনপির হামলায় শ্রমিক নেতা জাহাঙ্গীর আলমের (৩৫) মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহজনক পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে গতকাল রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। একই দিন সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর রেলগেটে হরতাল চলাকালে বিএনপির হামলায় আহত হন তিনি। মৃত জাহাঙ্গীর আলম লালমনিরহাট সদর উপজেলা মহেন্দ্রনগর এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে। তিনি লোড আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক এবং যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মত রোববার সকালে মহেন্দ্রনগর বাজারের একটি ইট ভাটায় কাজ করতে যাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় মহেন্দ্রনগর রেলগেট এলাকায় পৌঁছলে হরতাল বিতর্কে জড়িয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে হরতাল সমর্থক বিএনপিকে ছত্রভঙ্গ করে দেন। পরে আহত চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়। আহত শ্রমিক রাজু ও বাবলুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় রেফার্ড করেছেন চিকিৎসকরা।
হরতাল সমর্থনে জেলার বিভিন্নস্থানে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে আটক করেছে জেলা পুলিশ। এ ছাড়া হাতীবান্ধায় ৩ জন, কালীগঞ্জে ২ জন ও আদিতমারীতে আরো ৪ জন বিএনপি র নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, হরতালে সংঘর্ষের ঘটনায় জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে সন্দেহজনকভাবে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।