নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের আংশিক ও সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত রংপুর-৩ আসনে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর আনোয়ারা ইসলাম রানী। তিনি ন্যায় অধিকার ট্রান্সজেন্ডার উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি ও দীর্ঘদিন ধরে ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।
এই আসনে রাণী ছাড়াও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের মো. সহিদুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. আব্দুর রহমান রেজু, ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মো. একরামুল হক প্রতিদ্বন্দিদ্বতা করছেন।
তবে ভোটের মাঠসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর আনোয়ারা ইসলাম রানী। তিনি নিজস্ব কর্মী বাহিনী নিয়ে রংপুর মহানগরীসহ সদর উপজেলার সর্বত্র প্রচারণা চালাচ্ছেন। হাট-বাজার ও মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। তবে পিছিয়ে নেই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি প্রতিদিনই কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী জানান, ইতোপূর্বে অনেক নির্বাচনে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ পুরুষ অথবা নারী পরিচয়ে তাদের ভোট দিয়েছেন। তিনি গত বছর সর্বশেষ রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয়ে তার ভোট দিয়েছেন। কিন্তু এবারই প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন। এবারের ভোটার তালিকা অনুযায়ী রংপুর জেলায় তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ২৪ জন। বিষয়টি তাদের জন্য অনেক বেশি আনন্দের।
তিনি জানান, ‘সারা দেশের তুলনায় রংপুর দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে রয়েছে। রংপুর অঞ্চল সবচেয়ে অবহেলিত। এটি সঠিক নেতৃত্বশূন্য অঞ্চল। দেশের যত উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা রয়েছে তা থেকে রংপুর বঞ্চিত। সঠিক নেতৃত্ব নেই বলে রংপুরের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হচ্ছে না বলে আমি মনে করি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রানী বলেন, ‘নির্বাচনে আমার আশার জায়গা বলতে পারব না। তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। নির্বাচিত হই কিংবা পরাজিত হই, এখানে আমার হারানোর তেমন কিছু নেই। আগে মানুষের সেবা করেছি, নির্বাচনে পরাজিত হলেও মানুষের সেবা করে যাব।’
তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের পর থেকে আমি গণমাধ্যমকর্মীদের ভালো সাপোর্ট পাচ্ছি। সাধারণ মানুষও আমাদের এখন ভালোভাবে গ্রহণ করছে। এ কারণে আমি অনেক আশাবাদী।’