ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
ভারত ঘেঁষা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় পৌষের শেষে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে নাকাল অবস্থা জনজীবনে। চরম বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। গত ৫ দিনই দেখা মেলেনি সূর্যের। বৃষ্টির মতো করে দিনে ও রাতে পড়ছে কুয়াশা। সকাল ১১টা পর্যস্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। সন্ধা যত ঘনিয়া আসছে শীতের তীব্রতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এককথাই হার কাঁপানো শীতে ফুলবাড়ীর জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে।
শনিবার সকাল ৭টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।গত ৫ দিন থেকে রাতে গুড়িগুড়ি পড়ছে কুয়াশা। মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিরাও কাহিল হয়ে পড়েছে হাঁড়-কাঁপানো শীতে। সকাল পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছে শিশু ও বয়স্করা। এ দিকে হাঁড়-কাঁপানো ঠান্ডায় খর-কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষজন।
বড়লই গ্রামের আশরাফুল, বাংলাবাজারের রানা মিয়া, ধরলা চর যতীন্দ্র নারায়ণ গ্রামের পরেশ চন্দ্র রায়, খলিশা কোটাল এর মন্টু মেম্বার, অনন্তপুরের আব্দুল লতিফ জানান, প্রচন্ড শীতের কারণে বোরো বীজতলা ও আলুসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের অবস্থাও শীতে কাহিল।
উপজেল ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা (পিআইও) সবুজ কুমার গুপ্ত জানান, এপর্যন্ত সরকারী ভাবে তিন হাজার ১১০ পিচ কম্বল শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদা চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শনিবার সকাল ৭টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।