সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

আমাদের প্রতিদিন
2024-10-01 16:12:52

কুড়িগ্রামে বইছে মাঝারি শৈত প্রবাহ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

মঙ্গলবার কুড়িগ্রামে হিমাঙ্কের পারদ নেমেছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। যা চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ফলে মাঘের শীতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে গোটা কুড়িগ্রামের সাধারণ মানুষ । আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে  জেলার উপর দিয়ে বইছে মাঝারী শৈত্য প্রবাহ। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জীবন-জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছে শ্রমজী মানুষজন। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার জনপদ এবং চার শতাধিক চরাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ।

ঘন-কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র ঠান্ডায় মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট,সর্দিকাশিসহ শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৬০ জন রোগী। অন্যদিকে, শিশু ওয়ার্ডে ৪৪ টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৯০ জন রোগী। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে থাকায় গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

কুড়িগ্রাম সদরের বাধের পাড়ের রিকশা চালক রমিজ উদ্দিন,  পাঁচগাছী ইউনিয়নের রিকশা চালক সুজন বলেন, কিছুদিন থাকি ঠান্ডা খুব পড়ছে। আজও খুব ঠান্ডা রাস্তায় লোকজনও কম। আগের মতো আর যাত্রী হচ্ছে না। ঠান্ডার কারণে আয় অনেক কমে গেছে। যতই ঠান্ডা হোক না কেন আমার গাড়ি নিয়ে বাহির হতেই হয়। ঠান্ডায় হাত পা জমে যায়। এখন পর্যন্ত কোন শীতবস্ত্র ভাগ্যে জোটেনি। খুব কষ্টে আছি।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ডিগ্রী সেলসিয়াস।  জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৫ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, সরকার শীতার্ত মানুষের পাশে আছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলমান। নতুন করে ২০ হাজার কম্বলের চাহিদা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর শৈত্য প্রবাহের কারণে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপরে না আসা পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।