কুড়িগ্রাম অফিস:
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সাইন্স সনদ জাল প্রমাণিত হলেও বহাল তবিয়তে থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা: আঞ্জুমান আরা। মাউশি কর্তৃক তদন্তে সনদপত্র জাল প্রমানিত হওয়ায় চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি বেতন ভাতাদির সরকারি অংশ স্থগিত করা হবে না তার জবাব ৭ কর্মদিবসের মধ্যে ওই শিক্ষককে দিতে বলা হলেও কোন জবাব দেননি। এ ঘটনায় কোন ব্যবস্থাও নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, মোছা: আঞ্জুমান আরা থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৫ সালে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সাইন্স সনদ দিয়ে সহকারি শিক্ষক পদে চাকুরি নেন। দীর্ঘ ৯ বছর যাবত বেতন ভাতাও উত্তোলন করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, মোছা: আঞ্জুমান আরা চাকুরি নিতে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সাইন্সের যে সনদটি দিয়েছে সে সনদটি প্রকৃতপক্ষে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার আহাম্মদ আলীর মেয়ে মোছা: আঞ্জুমান আরার। যার রোল নং- ২০১২০১২ রেজি: নং- ১২০০০১৬ সেসন ও পাশের সন ২০১২। শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ওই সনদপত্রটি দিয়ে চাকুরি নেন থানাহাট ইউনিয়নের শামস পাড়া এলাকার মো: নজির হোসেনের মেয়ে মোছা: আঞ্জুমান আরা।
একই ইউনিয়নের শামস পাড়া এলাকার ফারদিন হাসান ফাহিম নামে ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫ই মে ২০২৩ সালে নীলফামারী সাকিস হাউজে ওই শিক্ষকের তদন্ত হয়। তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক -৫ শাহেদ আলী। মাউশি কর্তৃক তদন্তে সনদপত্র জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি জাল সনদে এমপিওভুক্ত হওয়ায় জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১৮.১ (৪) ধারা অনুযায়ী কেন তার বেতন ভাতাদির সরকারি অংশ স্থগিত করা হবে না তার জবাব ৭ কর্মদিবসের মধ্যে ওই শিক্ষককে দিতে বলা হয়।
মাউশি’র শিক্ষা কর্মকর্তা (মাধ্য-১) মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো সংক্রান্ত পত্রটি মোছা: আঞ্জুমান আরা পেলেও পরবর্তিতে চিঠির পাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
অভিযোগ কারী ফারদিন হাসান ফাহিম বলেন, তদন্তে আমি গিয়েছিলাম আমি জেনেছি ওই শিক্ষকের জাল সনদ প্রমানিত হয়েছে তবুও কি ভাবে চাকরি করছেন আমি বুঝিনা। আমি আশা করবো সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৈয়ব আলী বলেন, তদন্ত যখন হয়েছিলো তখন আমি তদন্তে ছিলাম। বেতন ভাতাদির সরকারি অংশ স্থগিত করার বিষয়ে চিঠির কথা তিনি জেনেছেন। কিন্তু জবাবের বিষয়ে আমাকে কোন কিছুই বলেননি ওই শিক্ষক।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ওই শিক্ষকের সনদ জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে তিনিও চিঠি পেয়েছেন।