রৌমারীতে নির্যাতিত সাংবাদিকের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

আমাদের প্রতিদিন
2024-12-02 14:57:41

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নির্যাতিত সাংবাদিক আনিছুর রহমানের অভিযোগের বিষয়ে থানায় খোঁজখবর নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে সাখাওয়াত হোসেন সাখা নামক আরেক সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে আজ (০৩ মার্চ )বুধবার বেলা ১ টার দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী থানায়। এ ঘটনায় লাঞ্ছিত সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন বাদি হয়ে তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লাঞ্ছিত সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন ও লিখিত সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজ পড়ে বাড়ী ফেরার পথে কর্তিমারী বাজারে মাদককারবারির হাতে আনিছুর রহমান নামক এক সাংবাদিক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। এসময় তাকে বেধরক মারপিট করা হয় এবং শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেন তারা। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে নির্যাতিত সাংবাদিক আনিছুর রহমান থানায় ডিউটি অফিসার আনছুর রহমানের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তিনি ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ চাওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষটি ভাইরাল হয়।

এদিকে দৈনিক আমাদের বার্তা ও দৈনিক শিক্ষাডটকসহ স্থানীয় দৈনিক আমাদের প্রতিদিন পত্রিকার রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি সাওয়াত হোসেন সাখা পেশাগত দায়িত্বপালনের পাশাপাশি নির্যাতিত সাংবাদিক আনিছুর রহমানের বিষয় খোঁজখবর নিতে থানায় যান। তিনি দায়েরকৃত অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত ওসি মুসাহেদ খানের নিকট জানতে চাইলে তিনি কোনও অভিযোগ পাননি বলে ওই সাংবাদিককে জানান।

পরে বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের নিকট জানালে পুলিশের টনক নড়ে। এক পর্যায়ে ওই ডিউটি অফিসার এসআই আনছুর তদন্ত ওসির নিকট অভিযোগ উত্থাপন করেন। এসময় এএসআই শফিকুল ইসলাম শফি আমার ওপর চড়াও হয়। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে ওসি তদন্তকে জানালে তিনিও আমাকে তাঁর কক্ষে উপস্থিত লোকজনের সামনে আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন এবং লাঞ্ছিত করেন। পরে বিষয়টি লিখিতভাবে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার বরাবর জানানো হয়।

এ ব্যাপারে রৌমারী থানার ওসি তদন্ত মুশাহেদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।