বায়েজিদ, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা):
গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুরের ঘগোয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবার এসএসসি পরীক্ষায় ১৪ ছাত্রীই ফেল করেছে। ওই স্কুলের শিক্ষকের সংখ্যা ১৩ জন। একটি স্কুলের ১৩ শিক্ষকের ১৪ জন ছাত্রী পাস না করায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষকের শোকজ করা হয়েছে। তবে গত বছর ১৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জনই পাশ করেছিল।
এবার এসএসসি পরীক্ষায় সারাদেশে পাশের হাড় ৮৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এমন ভালো ফলাফলের বছরে বিদ্যালয়ের শতভাগ ফেল নিয়ে উত্তীর্ণ অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টরা।
গাইবান্ধা জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মেছা : রুকসানা বেগম জানান,গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় তারাপুর ইউনিয়নে ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪ শিক্ষার্থী এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু পরীক্ষার অংশ নেয়ার কোন শিক্ষার্থী পাস করেনি। ৯ শিক্ষার্থী গণিতে এবং পাচ শিক্ষার্থী অন্য বিষয়ে ফেল করেছে। কেন এমন ফল হলো সে বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কারণ জানাতে বলা হয়েছে। ফেলের কারণ জানার পর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।
অভিভাবকদের অভিযোগ, এত যে শিক্ষকরা স্কুলে আসেন না। তারা ঠিক মতো ক্লাস নিলে ১৪ এমন পরিস্থিতি হতো না।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আই টি) সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, বিদ্যালয়টি অনেক পুরনো। ২০০৫ সালের দিকে বিদ্যালয়েরটি এমপিও হয়। প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের চরাঞ্চলে। প্রায় শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের। তাদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি কম ছিল। ফলাফল এমন হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডে যোগাযোগা করে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করা হবে।
তবে গত বছর ১৬ শিক্ষার্থীর ১৩ জন বাস করে। তার আগের বছর ২১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৭ জন। এরকম ভরাডুবি ফলাফল কখনো হয়নি। কেনও এমন ফলাফল হলো সেটির কারণ জানতে বলা হয়েছে। এরপর প্রয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।