কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
পটল একটি প্রধান গ্রীস্মকালীন সবজি। বাংলাদেশের সব জেলায় পটল চাষ হয় না। এরমধ্যে বৃহত্তর রংপুর, রাজশাহী,বগুরা,পাবনা,কুষ্টিয়া,যশোর,ফরিদপুর ও খুলনা জেলায় বেশী পটল চাষ করা হয়। কুড়িগ্রামে এ বছর চলতি মৌসুমে পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে।কৃষকরা ভালো দাম পেয়ে অনেক খুশি।বাজারে পটলের বেশী আমদানি হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের তথ্যমতে,চৈত্র ও বৈশাখ মাসে ক্ষেতের পটল তুলতে শুরু করে।আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামে ৪০৫ হেক্টর জমিতে পটলের চাষ হয়েছে এবং কৃষকরা দামও ভালো পাচ্ছে।বাজারে এখন পটল খুচরা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।জেলায় পটলের পাশাপাশি নানা জাতের মৌসুমি সবজি আবাদও ভালো হয়েছে।
সরেজমিনে কুড়িগ্রাম পুরাতন পৌর কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পটল দিয়ে বাজার ভরে গেছে। কৃষকরা ক্ষেত থেকে সরাসরি পাইকারি বাজারে নিয়ে আসছে।
কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের পটল চাষী জয়নাল মিয়া বলেন, ‘এবার আমার তিন বিঘা জমিতে পটল আবাদ করেছি। খুব ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে দামও ভালো পেয়েছি। ১২শ টাকা করে প্রতি মণ পটল বিক্রি করেছি। আশা করছি এবার পটল আবাদে ভালোই লাভ হবে।
পৌর কাঁচা বাজারের আরৎদার এনামুল বলেন,আমার আরৎ থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পাইকাররা এসে কাঁচামাল কিনে নিয়ে যায়। সকালে পটল পাইকারি ৩০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করেছি। পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে আমদানি বেশী হওয়ায় ২৭টাকা দরে বিক্রি করতে হয়।আজ বাজারে প্রায় ২৫০শ মণ পটল কেনাবেচা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,খামার বাড়ী কুড়িগ্রাম উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,এ বছর চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় ৪০৫ হেক্টর জমিতে পটল চাষ করা হয়েছে।গত বছর ছিল ৩৯০ হেক্টর। এবার গত বছরের চেয়ে ১৫ হেক্টর বেশী। কৃষকরা ফলন ও দাম ভালো পেয়ে অনেক খুশি।আগামীতে পটল চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশা করছি।