চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের শরীরে গরম পানি নিক্ষেপ করে ৩জনকে ঝলসে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া ওই ৩জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ভূক্তভোগীদের করা মামলায় ১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে উপজেলার বালাবাড়ীহাট এলাকায়।
এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে,উপজেলার বালাবাড়ীহাট ভাসারভিটা এলাকার বজলার রহমান গং ও নুর মোহাম্মদ গং এর মধ্যে জমি দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।ওই জমি নিয়ে চলমান মামলায় বিজ্ঞ আদালত বজলার রহমান গং এর পক্ষে রায় প্রদান করে।আদালতের পক্ষ থেকে গত ২০২৩ সালের ২৪আগষ্ট তারিখে তাদের নিকট জমির দখলও বুঝিয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্যও কয়েক দফা উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
শুক্রবার সকালে বজলার রহমান সরকার গং জমির সীমানা ঠিক করতে গেলে নুর মোহাম্মদ গং তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বজলার গং এর আকবর আলীর ছেলে মুকুল মিয়ার পায়ে দা দিয়ে কোপ মারলে পা মারাত্মক যখম হয়। এসময় নুর মোহাম্মদ বাহিনীর গরম পানি নিক্ষেপে গয়ছল হকের স্ত্রী সাহেরা বেগম,বক্তার আলীর ছেলে সুরুজ্জামান উজ্জল ও বশির উদ্দিনের ছেলে গোলাম মোস্তাফা লিটুর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ঝলসে যায়। গরম পানিতে ঝলসে যাওয়া ওই ৩জনকে প্রথমে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
মামলার বাদী মো.বজলার রহমান জানান,তারা আদালত কতৃর্ক রায়প্রাপ্ত জমিতে গেলে নুর মোহাম্মদ,বকুল বেগম ওরফে বোনো,ফজলুল হক ওরফে আল্টু,মাইদুল ইসলাম,মাজেদুল ইসলাম,পারুল বেগম ও রোকাইয়া বেগমরা দেশীয় বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং আমাদের শরীরে গরম পানি নিক্ষেপ করে।
পরে বজলার রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে ওই রাতেই ফজলুল হক ওরফে আল্টু নামের একজনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে চিলমারী থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মোজাম্মেল হক জানান,জমি নিয়ে বিরোধের সংঘর্ঘে মামলা হয়েছে। ওই দিনই এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে,অন্যদের ধরার চেষ্টা চলছে।