অবশেষে ফেরি যুক্ত হচ্ছে চিলমারী বন্দর ঘাটে
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে কড়ালগ্রাসী ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের চিলমারী,রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় যাতায়াতের জন্য নৌপথে উন্নত যোগাযোগ হিসাবে যুক্ত হচ্ছে ফেরি।এর আগে ওই তিন উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। চিলমারী,রৌমারী ও রাজিবপুর নৌ-রুটে ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য চিলমারী ঘাটের সকল প্রস্তুতি শেষে সংযুক্ত করা হয়েছে ফেরিতে ওঠা-নামার জন্য পন্টুন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডব্লিউটিএ)’র তথ্য মতে,চিলমারী-রৌমারী উপজেলার মধ্যে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌ পথ। এ পথের দুরত্ব প্রায় ২১কি.মি. হলেও নিয়মিত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এই রুটের দুরত্ব কমিয়ে ১৩-১৪ কিলোমিটারে আনা সম্ভব এবং সে লক্ষে কাজ চলমান রয়েছে।
স্থানীয়দের দাবী,এই রুটে ফেরি সার্ভিস চালু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ নৌকা যোগে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা শহরে এসে প্রশাসনিক,দাপ্তরিক ও আদালত সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম শেষ করে বাড়ী ফিরতে নানা ভোগান্তির শিকার হয়। বর্ষাকালে জীবনের ঝুকি নিয়ে এবং গ্রীষ্মকালে নদের নাব্যতা সংকটে যাতায়াত ঝুকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হয়ে দাড়ায়। বেশিরভাগ সময়ে জেলা শহরের কাজ শেষ করতে দেরি হলে নৌকা না পেয়ে জেলা শহরেই রাত্রি যাপন করতে হয় যা অনেকের পক্ষে অসম্ভব। ওই পথে ফেরি সার্ভিস চালু হলে শুধু চিলমারী,রৌমারী ও রাজিবপুর নয় কুড়িগ্রামের সাথে ঢাকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে সময় এবং খরচ দুটোই কমে যাবে। চিলমারী বন্দর নৌ-ঘাট থেকে দীর্ঘদিন ধরে ফেরি চলাচলের জল্পনা-কল্পনা চললেও নানা জটিলতায় তা হয়ে উঠছিল না। ফেরি চলাচল সংক্রান্ত কার্যক্রমের জন্য সম্প্রতি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের নিরলস চেষ্টায় অবশেষে ফেরি যুক্ত হতে যাচ্ছে বলে নৌ-বন্দর ঘাট এলাকার মিজানুর রহমান,মোসলেম উদ্দিন,নয়নসহ অনেকে জানান।
বিআইডব্লিউটিএ’র সিরাজগঞ্জ ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.নজরুল ইসলাম জানান, চিলমারী নদী বন্দর ঘাটের রাস্তা নির্মাণসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রৌমারী ফেরিঘাটের ৭০শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে,রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ফেরি চলে আসবে বলে আশা করছি।