খানসামায় স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ;বরের বাবার দণ্ড;কনের বাবার মুচলেকা
খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজ উদ্দিনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল নাজমিন আক্তার নামে ১৭ বছর বয়সী সদ্য এসএসসি পাশ করা এক স্কুলছাত্রী। ওই স্কুলছাত্রী উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের নেউলা গ্রামের হাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম ছয়ফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর ) রাত সাড়ে ৯ টায় খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের নেউলা গ্রামের হাজীপাড়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাজ উদ্দিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভাবকী ইউনিয়নের কুমড়িয়া গ্রামের আব্দুর সামাদের ২২ বছর বয়সী ছেলে শহিদুল ইসলামের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। সে অনুযায়ী ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল জাঁকজমক অনুষ্ঠান, আয়োজনের নেই কোন ঘাটতি। বিয়ের অনুষ্ঠানও প্রায় শেষ পর্যায়, কনেকেও সাজানোর কাজ শেষ। এমন সময় বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজেই কনের বাড়িতে এসে বন্ধ করে দেন বাল্য বিবাহ। পরে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক চৌধুরী ও ইউপি সদস্য বাবলুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী বাল্যবিবাহ দেয়ায় জড়িত ব্যক্তিদের নিকট হতে মুচলেকা আদায় এবং বাল্য বিবাহ সম্পাদনে সহযোগিতার জন্য বরের বড় ভাইকে তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করা হয়েছে বলে এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজ উদ্দিন।