২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ - ০৮ অক্টোবর, ২০২৪ - 08 October, 2024

পীরগঞ্জে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আমাদের প্রতিদিন
1 year ago
215


সংবাদ সম্মেলন

পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকতার বিরুদ্ধে রংধনু বহুমুখী সমবায় সমিতির ৪টি মাইক্রোবাস সহ অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দীন। সংবাদ সম্মেলনে গিয়াস উদ্দীনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রায়হান কবির।

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, পীরগঞ্জ পৌর শহরের কলেজ বাজারে রংধনু বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ (রেজিঃ নং- ৩৩, তারিখ- ১৯ নভেম্বর ২০০০) নামে সমবায় সমিতির সভাপতি হিসেবে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন জনৈক গিয়াস উদ্দীন। তার দায়িত্ব পালন কালে সমিতির ব্যাপক অগ্রগতি হয়। সমিতির সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার দুইশ’র উপরে। এ সময় সমিতির নিজস্ব টাকায় ৪টি মাইক্রোবাস ও ১টি মোটরসাইকেল কেনা হয় এবং সদস্যদের বহু টাকা সমিতিতে আমানত হিসেবে থাকে। ঋণও প্রদান করা হয় অনেককে। গিয়াস উদ্দীনের পর সমিতির সভাপতি হিসেবে আমিনুল ইসলাম দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। এরপর থেকে সমিতির দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা সোনালী ব্যাংক এর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার ওসমান গণি সমিতির মইনুল ইসলাম, সুজাদুর রহমান ও মামুন কে হাত করে কৌশলে সমিতির ক্রয় করা ওই ৪টি মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল বিক্রি করে এবং সদস্যদের জমানো সঞ্চয়ের অর্থ নিজে হাতিয়ে নিয়ে তার খেয়াল খুশিমত সমিতির কার্যক্রম চালাতে থাকেন।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সমিতির টাকা দিয়েই ওসমান গণি ১৭ লাখ টাকা দিয়ে তার মেয়েকে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করান। ১০ লাখ টাকা খরচ করে ধুমধামের সাথে আরেক মেয়েকে বিয়ে দেন এবং পৌর শহরের রঘুনাথপুর মৌজায় ১৫ শতক জমি নিজ নামে কিনে ৫ তলা ভবন নির্মাণ করছেন। সমিতির টাকা আত্মসাৎ করে সমিতিকে দেউলিয়া বানান। সেই সাথে সদস্যদের জমানো টাকা ফেরৎ না দিয়ে কৌশলে সমিতির কার্যক্রম বন্ধ করে দেন ওসমান গণি। সমিতির কার্যক্রম না থাকায় জেলা সমবায় কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালে সমিতির নিবন্ধন বাতিল করেন।

এদিকে সমিতির রেজিষ্ট্রেশন বাতিল হওয়ার পর ওসমান গণি নিজেকে রক্ষা করতে সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দীনের ওপর সমিতির দায়ভার চাপিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে লুটপাট চালায়। গিয়াস উদ্দীনকে নাজেহাল করতে তার বিরুদ্ধে আদালতে নানা ধরণের হয়রানিমূলক মামলা আনয়ন করে। মামলায় হেরে গিয়ে গিয়াস উদ্দীন কে প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন ওসমান গণি ও তার লোকজন। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গিয়াস উদ্দীন ও তার পরিবারের লোকজন।

অভিযোগ বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত ক্যাশিয়ার ওসমান গণি’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

 

 

 

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth