গঙ্গাচড়ায় তিস্তায় গোসলে নেমে নিখোঁজের ১৬ দিন পর শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজের ১৬ দিন পর শিক্ষার্থী নাইস আহমেদের (১৯) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের সাপমারি এলাকায় ডুবে যাওয়া স্থান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে তিস্তায় নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীরই মরদেহ উদ্ধার হলো।
নাইস আহমেদ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গনেশের বাজার এলাকার মোনাব্বের হোসেনের ছেলে। তিনি গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বিদিতর হরিথান এলাকায় তার নানা ইউসুফ আলীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতেন। স্থানীয় আনোয়ারমারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন নাইস।
প্রত্যক্ষদর্শী মোবাস্বের জানান, তিস্তা নদীর কিনারায় মরদেহ ভেসে আসা দেখতে পেলে স্থানীয়দের খবর দেই। পরে আমরা কয়েকজন নদী থেকে মরদেহ তুলে নিয়ে আসি। এরপর নিখোঁজের পরিবার ও পুলিশকে খবর দিলে গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশ এসে মরদেহটি শনাক্তের পর পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করেন। এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, আমরা একটি মরদেহ ভাসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে ভেসে ওঠা মরদেহ নিখোঁজ নাইস আহমেদের বলে পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ৬ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদীতে ৬ বন্ধু গোসল করতে যান। এরপর তারা নদীতে গোসলে নামলে ৬ বন্ধুই তিস্তার স্রোতে তলিয়ে যেতে থাকেন। এক বন্ধু কেনো রকমে সাঁতরে পাড়ে উঠলেও বাকি ৫ বন্ধু স্রোতের টানে তলিয়ে যেতে ধরেন। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন নৌকা দিয়ে ৩ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও অন্য দুইজন সেখানেই নিখোঁজ হন। তারা দুজনেই এসএইচসি পরীক্ষার্থী। নিখোঁজের ৩৪ ঘণ্টা পর ডুবে যাওয়া স্থান থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে ভেসে ওঠে মুন্না আহমেদ (১৮) নামে এক পরীক্ষার্থীর মরদেহ।