২১ আশ্বিন, ১৪৩১ - ০৬ অক্টোবর, ২০২৪ - 06 October, 2024

রংপুর মহানগরীর ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেমের সফলতা ও প্রচারণা

আমাদের প্রতিদিন
1 year ago
310


নিজস্ব প্রতিবেদক:

ডিজিটাল যুগে প্রবেশের লক্ষ্যে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও যানজট নিরসনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে সিটি কর্পোরেশন এলাকার তিনটি স্থানে (জাহাজ কোম্পানীর মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড় ও লালকুঠির মোড়) ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হয়েছে। এতে শহরের সৌন্দর্যের যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রক্ষান্তরে যানজট নিরসন হচ্ছে। রংপুর মহানগরীতে এই ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম উদ্বোধন করা হয়েছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এবং রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের যৌথ উদ্যোগে গত ১২ সেপ্টেম্বর। যা ৩৫,৪৭,১০০/- টাকা ব্যয়ে নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় এবং লাল কুটির মোড় ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যা বাস্তবায়ন করছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

ট্রাফিক বিভাগ ও সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, ট্রাফিক সিগন্যালে লাল বাতি জ্বলে উঠলে থামতে হবে। হলুদ বাতি জ্বলে উঠলে যাত্রার প্রস্তুতি নিতে হবে (অর্থাৎ কিছু সময় অপেক্ষা করার পরই যাত্রা শুরু হবে)। আর সবুজ বাতি জ্বলে উঠলেই এগিয়ে যেতে হবে। এই ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি ০২ ভাবে কাজ করছে ম্যানুয়ালি (রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে) এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রি-প্লান করে সময় সেট করতে হয়।

যা রংপুর সিটি কর্পোরেশন এবং মেট্রোপলিটন পুলিশের যৌথ উদ্যোগে জোড়ালোভাবে সচেতনামূলক প্রচারাভিযান চলছে। ট্রাফিক পুলিশ সবুজ, হলুদ ও লাল বাতির মাধ্যমে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। পাশাপাশি চালকদের মধ্যেও এ সিগন্যাল পদ্ধতি মানার অভ্যাস গড়তে সাহায্য করছে। যা বর্তমানে ১০০  হলেও সফলতার সহিত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অটো চালক আসাদ, সাহলোম, জসিম সহ কয়েকজন বলেন, ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম চালুর কারণে ভালোই হয়েছে। ওই এলাকার জানজট কমে গেছে। প্রথম অবস্থায় মামলা না দিয়ে ট্রাফিক পুলিশ আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে। বুঝতে খুব বেশী সমস্যা হচ্ছেনা। তবে লালকুঠির মোড়ে এ ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিলোনা এর চেয়ে পায়রাচত্বর, মেডিকেল মোড়, শাপলা, মর্ডান মোড়, মাহিগঞ্জ এলাকাসহ কয়েকটি স্থান বেশী গুরুত্ব পূর্ণ ছিলো, সেখানে দিলে বেশী ভালো হতো।

অপরদিকে অটো-রিক্সা চালক সুমন, দেবাশীশ, সুজন, তৌহিদুলসহ কয়েকজন বলেন, ডিজিটার ট্রাফিক সিস্টেমের কারণে বাংলাদেশের মোড়ে জানজট বেড়েছে বাংলাদেশ মোড় হতে ডক্টর’স ক্লিনিক পর্যন্ত জানজট সৃষ্টি হয় ডিজিটাল লাইটিং ব্যবস্থার কারণে। আবার লালকুঠির মোড়ে অটো-রিক্সার যাতায়াতই কম সেখানে ডিজিটাল সিস্টেম কোন কাজে আসছে না। তবে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম সম্পর্কে জ্ঞান হয়েছে। তারপরও অনেক সময় ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেমের লাইটের দিকে তাকানোর কথা মনে থাকেনা। কিছুদিন পর স্বাভাবিক হবে।

ঢাকার রিক্সা চালক সামিউল বলেন, ঢাকায় রিক্সা চালাতে চালাতে ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম সম্পর্কে জ্ঞাত হয়েছি সমস্যা হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের আইটি বিভাগের সহকারী প্রোগ্রামার বেলাল হোসেন বলেন, ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু হওয়ার পর হতে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রচারণার কাজ করে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন। মেয়র মহোদয় দেশের বাইরে থাকায় কাজটি কিছুটা পিছিয়ে আছে তবে তিনি দেশে ফিরলে জোড়ালো ভাবে প্রচারণার কাজ চালানো হবে।

উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মিনহাজুল আলম বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে পরিক্ষামূলক ভাবে নগরীর তিনটি স্থানে ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যল সিস্টেম চালু হয়েছে যা বাস্তবায়ন করছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। সকলের সহযোগীতায় জাহাজ কোম্পানি মোড়ে এর ব্যপক সফলতা পাচ্ছি। লালকুঠি মোড়ে ভিআইপি এলাকা ও ভিআইপি যাতায়াত করে কিন্তু সেখানে অটো-রিক্সার যাতায়াত কম থাকায় চাপ কম। বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় এলাকায় একটু বেগ পেতে হচ্ছে তবে স্বাভাবিক। ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা নতুন হওয়ায় কারণে অনেকের সিস্টেম ব্যবস্থাপনার দিকে দৃষ্টি সঠিক থাকছে না তাদের থামিয়ে বোঝানো হচ্ছে ও সতর্ক করা হচ্ছে। ১০০ সফল না হলেও অনেকাংশে আমরা সফল হয়েছি। আগামীতে শাপলা, মাহিগঞ্জসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু করা হবে। 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth