রসমালাইয়ের মতোই আটার ডালের জনপ্রিয়তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে
আসাদুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ:
গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জে এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় ছিল আটার ডাল। চালের গুঁড়া বা আটার সঙ্গে মাংসের তরকারি বা ডাল ছিল জনপ্রিয়তার শীর্ষে। রসমালাইয়ের মতোই আটার ডালের জনপ্রিয়তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।
শত বছর ধরে আটার ডাল জনপ্রিয় ছিল সুন্দরগঞ্জসহ গাইবান্ধার প্রতিটি উপজেলা ও ইউনিয়নে।তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর চরাঞ্চল গুলোতেও জনপ্রিয় ছিল আটার ডাল।এসব অঞ্চলে আগে কেউ মারা গেলে সাধারণত ৪০ দিন পরে কিংবা তার আগে এক ধরনের দোয়া মাহফিল ও ভোজের আয়োজন করতো মৃত ব্যক্তির পরিবার কিংবা স্বজনরা।এমন আয়োজনে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীকে দাওয়াত দেওয়া হয়। আর এই অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ থাকে আটার ডাল। দাওয়াত না পেলেও শুধু আটার ডালের সুস্বাদু ঘ্রানে বিভিন্ন এলাকার মানুষ এমন অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
সারারাত ধরে এসব আয়োজনে রান্নার পর ভোরে কিংবা সকালে খাবার পরিবেশন করা হয়। খোলা জায়গায় অসংখ্য মানুষ একসঙ্গে বসে এই খাবারের স্বাদ নেন। এক সময় কলা গাছের পাতা বা স্থানীয় ভাষায় পেটুয়া নামে পরিচিত কলা গাছের বাকলে ভাত আর আটার ডাল পরিবেশন করা হতো। এখন অনেকে ওয়ান টাইম প্লেটে এই খাবার পরিবেশন করেন। ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের সঙ্গে আটার ডালের স্বাদ হয়ে ওঠে অসাধারণ। গাইবান্ধাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় এই খাবার বেশ জনপ্রিয় বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মনে করেন,কোন সময়ে বা কার হাত ধরে এই অঞ্চলে আটার ডালের প্রচলন হয়েছিল, তা জানতে না পারলেও যুগের পর যুগ ধরে গ্রামীণ জনপদে এই খাবারের প্রচলন আছে। এই আটার ডালকে ব্র্যান্ডিং করা হলে রসমালাইয়ের মতোই শুধু গাইবান্ধায় নয়,এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে।