বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
তিস্তার উজানে ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা অংশে বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ভারী ঢল ধেয়ে আসছে। এতে তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দ্রুত গতিতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তার চরাঞ্চলে ও নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নদী এলাকায় মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলছেন জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য জানায়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (সিডব্লিউসি) এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘন্টা ভারী বৃষ্টি পাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়াও রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এলাকায় রাত থেকেই বৃষ্টি চলছে।
এতে তিস্তার পানি আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল চারটার দিকে পানি বিপৎসীমার ৫ সে.মি ওপরে ও পরে বিকেল পাচটা নাগাদ ডালিয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরে সন্ধ্যা সাতটায় তা বিপৎসীমার ২৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
এদিকে পানির তেড়ে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কায় তীরবর্তী লোকজনদের সতর্ক করছে প্রশাসন। দুপুরের পর থেকে নদী এলাকায় মাইকিং করে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহবান জানানো হয়।
এছাড়াও আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের নদী এলাকা পরিদর্শন করেছেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার। তিনি সার্বিক খোজখবর নিয়েছেন।
এদিক্ব রাতে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ৫০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ফলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিস্তার বাম ও ডানতীরের নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। এতে মৌসুমী ফসল সহ ক্ষেত ক্ষামারের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার বলেন, আমরা নদী এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাইকিং করে ও বিভিন্নভাবে নদী এলাকার মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করা হয়েছে । আমি সার্বিক খোজখবর নিচ্ছ। চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের লোকজনদের পশুপাখিসহ প্রস্তুতি নিয়ে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ভারী ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দিবে। আমরা সার্বিক খোঁজখবর রাখছি।