নাব্যতা সংকটে চিলমারী-রৌমারী ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ভোগান্তিতে পণ্যবাহী পরিবহনের চালক-শ্রমিক
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা সংকটে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রাস্তার উপরে দাড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী পরিবহণের চালক ও শ্রমিক।
জানা গেছে,উপজেলার রমনা ঘাট থেকে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে নিয়মিত দুটি ফেরিতে পণ্যবাহীসহ বিভিন্ন প্রকার পরিবহন পারাপার করে আসছে।প্রতি ট্রিপে ফেরী কুঞ্জলতা ৮/৯টি ও বেগম সুফিয়া কামাল ১২/১৩টি পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করতে পারে। ব্রহ্মপুত্রের পানি হঠাৎ কমে যাওয়ায় নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। এতে বাধ্য হয়ে ফেরি দুটিকে কম গাড়ি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। ফলে ঘাট এলাকার রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে পরিবহন দাড়িয়ে থাকার ফেরি পার হতে পরিবহনগুলিকে অপেক্ষা করতে হয় ৪/৫দিন। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টায় ফেরি কুঞ্জলতা ৮টি ও সকার ১০টায় ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল ১০টি পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে রৌমারী যাওয়ার পরও ২৩টি গাড়ী অপেক্ষমান ছিল।
সোমবার সকালে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,দুটি ফেরি চলে যাওয়ার পরও রাস্তায় ২৩টি পণ্যবাহী পরিবহন ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে। এসময় লালমনির হাট বুড়িমারী এলাকা থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চালক মো.সুমন মিয়া,রাসেল মিয়াসহ অনেকে জানান,তারা গত শুক্রবার রাতে ঘাটে এসে আজ সোমবারও পার হতে পারছি না। চালক সাইফুল ইসলাম জানান, গতকাল(রোববার)রাতে আমার সিরিয়াল ছিলো ২৫নম্বর। আজ ফেরি ১ট্রিপ নিয়ে যাওয়ার পরও আমি ২১নম্বরে আছি। আজও আমার পারি দেয়া হবে না। এখানে গাড়ীর সিরিয়াল আগে নিতেও টাকা লাগে। গাড়ির চাপ কমাতে রাতেও ফেরী চলাচল করা দরকার। বুড়িমারী এলাকা থেকে ভূটÍা নিয়ে আসা গাড়ীর চালক কাজল মিয়া বলেন,ফেরি পার হওয়ার জন্য এ পথে এসে ৪টি অপেক্ষা করছি। এই ৪দিনে ভূটÍার দাম কেজি প্রতি ১টাকা কমে যাওয়া লোকসানের উপর লোকসান দেখা দিয়েছে। ঢাকা গাজীপুর এলাকার গাড়ী চালক মো.বাবু মিয়া জানান,তিনি লালমনিরহাট বুড়িমারী থেকে ভূট্রা নিয়ে ঘাটে এসেছে শুক্রবার সকালে। আজও তিনি ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছেন।
বিআইডবিøউটিসি’র ম্যানেজার বাণিজ্য প্রফুল্ল চৌহান বলেন,সকালে ফেরি কুঞ্জলতা ৮টি ও ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল ৯টি পরিবহন নিয়ে যাওয়ার পরও ২৩টি গাড়ী অপেক্ষায় আছে।নাব্যতা সংকট কেটে গেলে আর জট থাকবে না।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক(বানিজ্যিক) এস এম আসিকুজ্জামান বলেন,নাব্যতা সংকট এবং ঘাটে সমস্যার কারনে ফেরি দুটি ঠিকমতো চলতে পারছে না। এই দুই সমস্যার সমাধান হলে প্রয়োজনে চিলমারীতে আরও ফেরি পাঠানো হবে।