৫ আশ্বিন, ১৪৩১ - ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ - 20 September, 2024

রংপুরের দশ হাজার নেতাকর্মী যাওয়ার প্রস্তুতি:যাত্রাপথে হয়রানির আশঙ্কা

আমাদের প্রতিদিন
10 months ago
276


ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ

আগাম গেছেন অনেক নেতাকর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে মহাসমাবেশ ডাক দিয়েছে বিএনপি। এই  মহাসমাবেশে যোগ দিতে রংপুর মহানগরীসহ জেলার দশ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ২ থেকে ৩ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় গেছেন বলে দলটির নেতারা জানিয়েছেন।  তবে দল বদ্ধভাবে না যাওয়া, হোটেল- মেসে না থাকা, এ্যান্ডয়েট ফোন না ব্যবহার করাসহ নানা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাদের। এদিকে রংপুর থেকে ঢাকায় সেসকল নেতাকর্মীয় যাবেন তাদের ব্যয়ভার কারা বহন করবেন তা নিয়ে জেলা ও মহানগরের কোন নেতাই মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে নেতা-কর্মীরা আশঙ্কা করছেন, যাত্রাপথে তাদের বাঁধা ও হয়রানি করা হতে পারে। হামলাও হতে পারে। রংপুর মহানগর ও জেলার তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে এমন আশঙ্কার কথা জানাগেছে। তবে মহাসমাবেশের আগেই আগাম রংপুরের অনেক নেতাকর্মী ঢাকায় রওনা হয়েছেন। বাঁধা ও হয়রানি এড়াতে আগাম যাওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন তারা। সব মিলিয়ে ঢাকার মহাসাবেশে বিএনপিসহ তাদের মিত্র দলগুলোর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় যাচ্ছেন।  এছাড়াও রংপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু সহ পদ মহানগর ও জেলার  বঞ্চিত নেতাকর্মীরা আলাদাভাবে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুুতি নিয়েছেন।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণ ও মুক্তির লক্ষ্যে ১ দফা দাবিতে গত সোমবার রংপুরে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব হারুন উর রশীদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আগামী ২৮ তারিখ বিএনপির মহাসমাবেশ ঢাকায় করা হবে। সমাবেশকে ঘিরে আমাদের সব রকম প্রস্তুতি আছে, সেদিন আমরা আগামী কর্মসূচি দেব। রংপুর মহানগর ও জেলার সকল নেতৃবৃন্দ প্রস্তুুত আছেনতো। এসময় উপস্তিত নেতাকর্মী হাঁ সূচক জবাব দেন। তারা মহাসমাবেশ সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

বিএনপি নেতারা জানান, প্রতিবার ঢাকায় কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় যানবাহন বন্ধ থাকা, পথে পথে তল্লাশিসহ নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হন তারা। সে কারণে এবার তারা মহাসমাবেশের আগেই ঢাকায় চলে যাবেন। এছাড়া আবাসিক হোটেলে থাকলে সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে। সে কারণে ঢাকায় হোটেলে থাকার পরিবর্তে বন্ধুবান্ধব অথবা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়ে থাকার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তবে যেভাবেই হোক মহাসমাবেশ সফল করবে তারা।

যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও রংপুর জেলার সভাপতি নাজমুল আলম নাজু বলেন, সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে যেতে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করবো, তাই হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মহাসমাবেশে যোগ দেবে। তবে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের।

রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, বিএনপি একের পর এক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে চলেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ও পুলিশ কিছু কিছু জায়গায় বাধা দিচ্ছে। তার পরেও কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ ওইসব কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করছেন। রংপুর মহানগর ও জেলা থেকে দশ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

তিনি আশংকা করে বলেন, ২৮ তারিখের আগের কিংবা পরে বাস চলাচল বন্ধ করে দিতে পারে সরকার দলের পক্ষ থেকে। তাই অনেকে দু’একদিন আগে ঢাকায় গিয়ে অবস্থান নেবেন।

বিএনপির নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, নেতা কর্মীদের এনড্রয়েট মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার পরামশর্ দেয়া হয়েছে। কারন ঢাকায় বিভিন্ন প্রবেশ পথে তল্লাশীর সময় পুলিশ মোবাইল ফোনে খালেদা জিয়া তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত কিছু পেলেই আটক করে। সে কারনে নরমাল মোবাইল ফোন সঙ্গে নিতে বলা হয়েছে।

এদিকে রংপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু, সাংগঠনিক সম্পাদব আব্দুস সালাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান তিতু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকছেনুল আরেফীন রুবেলসহ  পদ বঞ্চিত নেতাকর্মীরা আলাদাভাবে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তারা নিজ ব্যয়ে তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ঢাকায় যাবেন ও মহাসমাবেশ থাকবেন বলে জানাগেছে।

 

 

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth