রংপুরে ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে আ'লীগের এমপি প্রার্থী লিলির ডিজিটাল নিরাপত্বা আইনে মামলার এজাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মদ খেয়ে আওয়ামীলীগ নেত্রীর মাতলামি শিরোনামে পূজা মন্ডপের নাচ ও বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ ফেসবুক পোস্ট দেয়ার অভিযোগে এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্বা আইনে রংপুরের বদরগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেছেন আওয়ামীলীগের এমপি মনোনয়ন প্রার্থী সুমনা আক্তার লিলি। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে থানায় উপস্থিত হয়ে এই এজাহার দায়ের করেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে এজহারটি গ্রহন করে তদন্ত করা হচ্ছে।
সুমনা আক্তার লিলি রংপুর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ সভাপতি। রংপুর-০২ বদরগঞ্জ আসনে আওয়ামীলীগের এমপি মনোনয়ন পাওয়ার জন্য মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। থানায় দেয়া এজহারে লিলি দাবি করেছেন, ‘ আশিকুর রহমান আশিক নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী তার ফেসুবক আইডিতে প্রথমে মদ খেয়ে মুসলমানদের ব্যঙ্গ করলেন আওয়ামীলীগ নেত্রী। মুসলমানরা দুর্গা পূজা পালন করেন বানিতে লিলি। সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। এই ধরণের মাতাল নেত্রী আমরা চাই নাহ-নাহ। যে-কিনা মদ খেয়ে নিজের ধর্ম ভুলে যায়। এবং দ্বিতীয় দফায় মদ খেয়ে মাতাল হয়ে ছেলেদের সাথে নাচানাচি করলো কথিত নেত্রী লিলি।মাতাল হয়ে মুসলমানদের ঈদকে ছোট করে ব্যাঙ্গ করলেন তিনি।
এজহারে লিলি আরও দাবী করেছেন, এ ধরণের লেখা ও ১ মিনিটের ভিডিও সহ পোস্ট করে ধর্মীয় সম্প্রীতি নস্টের চেস্টা করেছেন। সাম্প্রদায়িক উস্কানী দেয়ার চেস্টা করেছেন এবং আমাকে দলীয়, সামাজিক ওপারিবারিক মানহানি করেছেন। এ ঘটনার দ্রুত আইন কার্যক্রম শুরুর দাবি জানানো হয় এজহারে। ‘
এছাড়াও এজহারে ফেসবুকের এই পোস্টের জন্য স্থানীয় এমপি আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, এমপির পিএ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান এপিএস সাদ্দাম সোহেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নাম উল্লেখ করে তাদের নেতৃত্বে এসব হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যপারে সুমনা আক্তার লিলি জানান, ‘ যে পুজা মন্ডপের ভিডিও দেয়া হয়েছে। ২২ অক্টোবর আমি সেই পূজা মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতেম যাই। সেখানে তারা আনন্দ করছিলেন। আমি তাদের কাছে গিয়ে সেই আনন্দ দেখি। পরে তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌছে দেই, আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের কথা বলি এবং সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার দাবি জানাই। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ওই ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে ফেসবুকে দিয়ে আমার দলীয়, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুন্ন করার চেস্টা করা হয়েছে। এছাড়াও ধর্মীয় উস্কানী দেয়ার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনস্ট করার চেস্টা করা হয়েছে।
রংপুর জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেলের প্রধান সমন্বয়কারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,ইফতে খায়ের আলম জানান, আওয়ামীলীগ নেত্রী সুমনা আক্তার লিলি বদরগঞ্জ থানায় ফেসুবেক লেখা ও ভিডিও পোস্ট বিষয়ে একটি এজহার দাখিল করেছেন। আমরা এজহারটি গ্রহন করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।