২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ - ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ - 08 September, 2024
amader protidin

গঙ্গাচড়ায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত আলু চাষিরা

আমাদের প্রতিদিন
10 months ago
373


গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

বাজারে আলুর দাম কমছে না, বরং বাড়ছে। আর এরই মধ্যে অধিক লাভের আশায় রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলু চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্বল্পমেয়াদি আগাম আমন ধান ঘরে তুলে সেই জমিতে আলু চাষের প্রস্তুতি তাদের। এ জন্য হালচাষ, পরিচর্যা, সার প্রয়োগ, হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ ও বপনে ব্যস্ত তারা। এদিকে বিগত বছরের তুলনায় আলুবীজের দাম বেড়েছে তিন গুণ। এছাড়া সার, কীটনাশকের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় আলু চাষে বিঘা প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৬ হাজার ৩৭৫ হেক্টরে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এবারের বন্যায় তিস্তায় পলি মাটিতে ছেয়ে গেছে। তাই গত বছরের তুলনায় এবার ফসলের উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করছেন চরাঞ্চলের কৃষকেরা। তিস্তার পানি নেমে যাওয়ায় উঁচু জায়গা ছাড়াও চরাঞ্চলেও হচ্ছে আগাম আলুর চাষ।

গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের গান্নারপাড় এলাকার কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, এ বছর ৩ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপণ করেছি। আলুর বীজ প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে। আগেভাগে আলু উত্তোলন করতে পারলে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি। কম দাম পেলে লোকসানে পড়তে হবে।

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চল্লিশসাল চরের আলু চাষি হিরু মিয়া বলেন, তিস্তার পানি নেমে যাওয়ায় আগাম ১ একর জমিতে আলু চাষ করেছি। ভারী বৃষ্টিপাত হলে তেমন ভয় থাকে না। তবে বন্যা হলে তো সব শেষ। আর না হলে আলুর ফলন ভালো হবে। তাই লাভের আশায় আগেভাগে আলুর চাষ করেছি।

কোলকোন্দ ইউনিয়নের দক্ষিণ কোলকোন্দ গ্রামের আলুচাষী সাদেকুল ইসলাম বলেন, আগাম জাতের আলু উৎপাদন করে চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়। অন্য ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যাপক অবদান রাখে আগাম আলু।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মারুফা ইফতেখার সিদ্দিকা জানান, কৃষকেরা আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগাম আলু চাষ করছেন। আগাম চাষ করে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করা যায়, তাই কৃষকের মধ্যে আগাম আলু চাষের আগ্রহ বেড়েছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়