২১ আশ্বিন, ১৪৩১ - ০৬ অক্টোবর, ২০২৪ - 06 October, 2024

সুন্দরগঞ্জে ‘যুবলীগ নেতা হত্যার মূলহোতারা বিএনপি-জামায়াতকর্মী’

আমাদের প্রতিদিন
10 months ago
275


র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৩। গ্রেপ্তররা হলেন- জয়নাল মিয়া (৩৪), মোজাম্মেল হক (৫০)  ও মো. মারুফ মিয়া (২৫)। এ তিনজন চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী বলে দাবি করছে র‍্যাব। এদের মধ্যে মারুফ মিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, জয়নাল মিয়া বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং মোজাম্মেল হক জামায়াতকর্মী।

আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরের হাজীরহাট উত্তম এলাকায় নবনির্মিত র‍্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১৩’র অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ চলাকালীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে নাশকতার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে হত্যা করেছে উল্লেখ করে র‍্যাব-১৩’র অধিনায়ক বলেন, যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামায়াত ও বিএনপির কিছু দুষ্কৃতিকারী হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। গত ১২ নভেম্বর রাত এগারোটার দিকে জাহিদুল মোটরসাইকেলযোগে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা হতে ছাইতনতলা আসার পথে শাখামারা ব্রিজের উপরে পৌঁছামাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্ত আসামিরা অতর্কিত হামলা করে তাকে এলোপাথারি ভাবে লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত ও হাত-পায়ের রগ কেটে গুরুতর রক্তাক্ত করে। পরে ওইদিন রাতেই তাকে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেফার্ড করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আরাফাত ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সংঘটিত করার পরপরই আসামিরা বিভিন্নস্থানে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ২৩ জনের নামসহ আরও ১৫-২০ অজ্ঞাতকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষমওহয়। এরই ধারাবাহিকতায়  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৪ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ইউনিয়নের রাঘবচর এলাকা থেকে আসামি জয়নাল মিয়া, রংপুরের পীরগাছা থেকে মোজাম্মেল হক, রংপুর মহানগরী থেকে মারুফ মিয়া গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৩ এর অভিযানিক দল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য তুলে ধরে র‍্যাব-১৩ দাবি করেন, আসামি মারুফ মিয়া এই হত্যাকাণ্ডের মূলপরিকল্পনা। আসামিরা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জাহিদুল ইসলামকে হত্যার ছক তৈরি করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মারুফ মিয়া পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ নভেম্বর যুবলীগ নেতা জাহিদুলকে শাখামারা ব্রিজের উপর নিয়ে আসেন। সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা মারুফের সহযোগীরা বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জাহিদুলকে গুরুতর জখম করে হত্যা করে। গ্রেপ্তাররা আসামিরা সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু নাশকতার ঘটনার সাথে জড়িত বলেও জানান তিনি।  

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth