৫ আশ্বিন, ১৪৩১ - ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ - 20 September, 2024

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

আমাদের প্রতিদিন
10 months ago
296


রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মসলিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, সেচ্ছাচারিতা, জাতীয় দিবস পালন না করাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মসলিম উদ্দনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুর রহমান মাসুদ। ঘটনাটি রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি আনছার ডিলারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি আনছার ডিলারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মসলিম উদ্দিনের যোগদান করার পর থেকে নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।স্লিপ, রুটিন মেইনটেন্যান্স, শ্রেণি কক্ষ সজ্জিতকরণ নামের বিদ্যালয়ে উন্নয়নমূলক সরকারি প্রকল্পের টাকা কাজ না করে আত্মসাত করেন তিনি। এছাড়াও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদে নিজের মতো করে সদস্য বানানোর অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ব্যাটারি ১টি, ল্যাপটপ ২টি, রান্না করার জন্য ডেক্স ২টি প্রধান শিক্ষক তার বাড়ীতে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং জাতীয় কোন দিবস পালন না করার অভিযোগও রয়েছে। এসব বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির কোন সদস্য প্রতিবাদ করলে তাদের এক ধরনের হয়রানি করেন। কমিটির মেয়াদাত্তীর্ণ হওয়ায় আবারও পকেট কমিটি করার পায়তারা করছেন তিনি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। তার এসব কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

অভিযোগ প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মসলিম উদ্দন মুঠোফোনে জানান, বরাদ্দকৃত কোন টাকা আত্মসাত করিনি এবং অর্থ দিয়ে বর্তমান কাজ চলমান রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সোলার, ব্যাটারি, রান্নার ডেক্স নষ্ট হওয়ায় বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি নিলাম বা কর্তৃপক্ষের অনুমিত বিষয় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমি তো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, তাই এসব জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এতে সমস্যা নেই বলে জানান।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহমুদা খাতুন বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে গাজীপুরের শালনায় একটি পোশাক কারখানায় আমি চাকরি করছি। তাই ঠিকমত খোঁজ—খবর নিতে পারছি না। তারপরও আপনার মাধ্যমে জানলাম। বিষয়টি খোঁজখবর নিবো।

রাজীবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, অভিযোগের আলোকে বিদ্যালয়ে সরেজিমন তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিটক শিগরিই দেওয়া হবে বলে জানান।

রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আহমেদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth