গঙ্গাচড়ায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিধবা-বয়স্ক ভাতার টাকা সুকৌশলে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
গঙ্গাচড়া ( রংপুর) প্রতিনিধিঃ
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ঝর্না বেগমের বিরুদ্ধে বয়স্ক-বিধবা ভাতার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে গত (১৯ নভেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোসলেমা বেগম।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ঝর্না বেগম প্রায় ১ বছর আগে বয়স্ক-বিধবা ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে ওই ওয়ার্ডের জসিম উদ্দিন এর মেয়ে মোছাঃ মোসলেমা বেগম (৭১) এর নিকট জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ছবি ও মোবাইল নম্বর গ্রহণ করেন।
কয়েক মাস আগে মোসলেমা বেগমের মোবাইলে ৩ হাজার ৩০০ টাকা আসলে ইউপি সদস্য ঝর্না বেগম এসে তোমার ভাতা করে দেওয়া হয়েছে আমাকে খরচ বাবদ ১ হাজার টাকা দিতে হবে বলে মোসলেমার নিকট এক হাজার টাকা নিয়ে যায়। কয়েকদিন পর ইউপি সদস্য আবার এসে বলে অন্য লোকের টাকা তোমার মোবাইলে ভুল করে এসেছে তুমি বাকি ২ হাজার ৩০০ টাকা আমাকে ফেরত দাও। মোসলেমা বেগম টাকা দিতে না চাইলে ইউপি সদস্য ঝর্না বেগম ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং জোর পূর্বক হাতের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এঘটনায় ভুক্তভোগী মোসলেমা বেগম নিরুপায় হয়ে ইউপি সদস্য ঝর্ণা বেগমের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য ঝর্না বেগমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বলেন টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না'র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ তদন্ত করার জন্য উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য এর আগে ইউপি সদস্য ঝর্না বেগমের বিরুদ্ধে উমর গ্রামের বাসিন্দা মোছাঃ নাজরিন বেগম ২০২২ সালের ৯ নভেম্বর
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর রেশন কার্ডের চাল আত্মসাৎ করায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।