কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নৌকার অভূতপূর্ব জয়, বিরোধী সব প্রার্থী হারালেন জামানত
কুড়িগ্রাম অফিস:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টিসহ প্রতিদ্বন্দি ১০ প্রার্থীই। এক সময়ে জাতীয় পার্টির ঘাটি হিসেবে খ্যাত এ আসনে টানা ২য় বার আওয়ামী লীগ জয় লাভ করেছে।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনে (চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা) আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের এ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান ৮১ হাজার ১৩২ ভোট পেয়ে বে-সরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতিকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৫২ ভোট।
এ আসনে মোট ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪০৬ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪ জন ভোটার ১৩০টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। সে হিসেবে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের পরাজিত প্রার্থীদের জামানত ফিরে পেতে ১৪ হাজার ৭৫১ ভোট প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু প্রতিদ্বন্দি কোন প্রার্থীই সে পরিমাণ ভোট পাননি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ঘোষিত প্রাথমিক বে-সরকারী ফলাফলের বার্তা অনুযায়ী এ আসনের প্রতিদ্বন্দি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী ঈগল প্রতিকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৫২ ভোট, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতিকে একেএম সাইফুর রহমান পেয়েছেন ১২ হাজার ২৮১ ভোট, ঢেকি প্রতিকে ডা. ফারুকুল ইসলাম ৭ হাজার ৮১৯ ভোট, শহিদুল ইসলাম শালু ট্রাক প্রতিকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪১ ভোট, শাহ্ মো: নুর-ই-শাহী কলার ছড়ি প্রতিকে পেয়েছেন ৬৭১ ভোট, তৃণমুল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতিকে আতিকুর রহমান খান পেয়েছেন ৩৯৬ ভোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মোহাম্মদ আবু শামিম হাবীব গামছা প্রতিকে পেয়েছেন ২০১ ভোট, মাসুম ইকবাল কাঁচি প্রতিকে পেয়েছেন ১২৮ ভোট, জাতীয় পার্টি জেপি (মঞ্জু) রুহুল আমিন বাই সাইকেল প্রতিকে পেয়েছেন ১১৩ ভোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেসে আব্দুল হামিদ ডাব প্রতিকে পেয়েছেন ৭০ ভোট।