জারত টসসি নাগিছি, কায়ো ক্যামবা কোনো খবরে না নেয় ?
কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
‘এ্যামন জারত আর বাঁচি থাকা দায়, গাও ক্যামবা আপনে থর থর করি কাঁপে। জারত টসসি নাগিছি, কায়ো ক্যামবা কোনো খবরে না নেয়’। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপির মুন্সিপাড়ার সত্তর বছর পেরুনো বৃদ্ধা নুরজাহান সোমবার বিকালে এমন কথা বলেন।
দ্বিতীয় সন্তান সাইফুল ইসলামের অন্নে জীবিকা চলে শারীরিক প্রতিবন্ধি নুরজাহানের। স্বামী গত হয়েছেন প্রায় ২০ বছর আগে। ৬ জন লোকের সংসার চালাতে সাইফুলের কর্মসংস্থানের অবলম্বন হলো রিক্সা-ভ্যান। বৈরী আবহাওয়ার কারণে যাত্রী সংকটে অলস সময় কাটাতে হয় তার। কাজেই অনটন পিছু ছাড়ে না। এমন সংসারে গরম কাপড়ের প্রতুলতা যেন মানায় না। তাই দুটি জীর্ণ পাতলা কম্বল ও ছেড়া কাঁথায় শীত পার করতে হচ্ছে নুরজাহানকে। তাঁর সাথে কথা বলার সময় তিনি ঠান্ডায় অনর্গল কাঁপছিলেন। টীনের ছাউনিতে থাকা ভাঙ্গা বাঁশের বেড়া গলিয়ে উত্তরের হিমেল হাওয়া যেন অল্পতে তুষ্ট থাকা নুরজাহানের মনটাকে বিদীর্ণ করে দেয়। নুরজাহান অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রায় ১০/১২ বছর হইল মোক একটা কায়ো একখান কম্বল দেয় নাই। জারত শরীল কোকরা নাগি যায়।’
কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রাশেদ বলেন, শীতার্থদের মাঝে ইতিমধ্যে ৩ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আরো কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।