দিনাজপুর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ : নির্দেশনা না পাওয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো দ্বিধা-দ্বন্দ্বে
দিনাজপুর প্রতিনিধি:
শৈত্য প্রবাহ আর হিমেল বাতাসে কনকনে শীত অনুভুত হচ্ছে দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদে। দিনাজপুরে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে তাপমাত্রা নেমে আসায় দিনাজপুর জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়সমুহ বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে, তবে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দাপ্তরিক কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় ছিলো দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে। উপস্থিতি কম থাকলেও কোন বিদ্যালয়ে শ্রেনী কার্যক্রম চলছে যথারীতি। যদিও কোন কোন বিদ্যালয়ে বন্ধ ছিলো শ্রেনী কার্যক্রম।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, রোববার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিরাজ করলেও আজ সোমবার (২২ জানুয়ারী) তামমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসে আদ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ। বইছে উত্তরের হিমেল বাতাস ও শৈত্য প্রবাহ।
হাড় কাঁপানো কনকনে শীত অনুভুত হওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি মানুষ পড়েছে বিপাকে। তীব্র শীতে কাঁপছে এই অঞ্চলের মানুষ।
এদিকে দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রির নীচে তাপমাত্রা বিরাজ করায় বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে দিনাজপুর জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো।
দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, সকাল ৬ টায় আবহাওয়া অফিস থেকে তাপমাত্রার খবর নেয়ার পর জেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহের শ্রেনী কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। সকালেই প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মোবাইল ম্যাসেজ-এর মাধ্যমে বন্ধ রাখার জানিয়ে দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পড়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। কোন কোন বিদ্যালয়ে শ্রেনী কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বেশীরভাগ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেনী কার্যক্রম চলেছে যথারীতি। আগাম কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় তীব্র শীত উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে গেছে। তবে উপস্থিতি ছিলো কম।
দিনাজপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেনী কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও চলছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
দিনাজপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদুর রহমান শাহ জানান, জেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় শ্রেনী কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে, যদিও উপস্থিতি কম।
এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংবাদিকদের জানান, তাপমাত্রার বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালকের সাথে কথা বলে শ্রেনী কার্যক্রমের বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।