দিনাজপুরে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস:বইছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ
দিনাজপুর প্রতিনিধি:
মাঘের তীব্র শীতে কাঁপছে দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদ। বইছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ। দিনাজপুরে গতকাল রোববার তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিনাজপুরে এটিই এই শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
পৌষের শেষে এসে দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদে জেঁকে বসে শীত। গোটা মাঘ মাস জুড়েই অব্যাহত থাকে এই শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা বিরাজ করে ৭ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এই তাপমাত্রা নামতে নামতে চলে এসেছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। আজ রোববার তাপমাত্রা মাপণযন্ত্রের পারদ নেমে এসেছে চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্নে।
দিনাজপুরা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, দিনাজপুরে আজ রোববার (২৮ জানুয়ারী) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুরে এটিই এই চলতি শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানান তিনি। তিনি বলেন গতকাল শনিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শুক্রবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শৈত্য প্রবাহ আর অসহনীয় শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের সন্ধ্যানে বের হয়েও তীব্র শীতে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
রোববার সকাল ১০টায় দিনাজপুর শহরের কোতয়ালী থানার সামনে কাজের জন্য অপেক্ষা করছিলো ট্রাকের মালামাল লোড-আনলোড শ্রমিক আব্দুস সালাম। থানার সামনে বসে থরথর করে কাঁপছিলেন তিনিসহ আরও ৮/১০ শ্রমিক। জানান, কাজ করে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬’শ টাকা রোজগার হয়। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে কোন কাজ নেই। এতে দুর্বিসহ অবস্থায় আছি। একই কথা জানান অন্যান্য শ্রমিকরাও।
এদিকে তীব্র শীতে বাড়ছে ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ—বালাই। শীতজনিত এসব রোগে আক্রান্তের বেশীরভাগই শিশু ও বয়স্ক। হাসপাতালে ভীড় করছেন তারা।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ এ.এইচ.এম. বোরহান—উল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জন এবং শ্বাসতন্ত্রেও সংক্রমনজনিত করনে ৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত এই শীত মৌসুমে দিনাজপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমন হয়ে ১ হাজার জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৭৭৯ জন রোগী।
অন্যদিকে সকালে ঘন কুয়াশার কারনে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।