পীরগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ ৮ ইউপি সদস্যের
একাই পরিষদ চালানোর ঘোষণা
পীরগাছা(রংপুর)প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগাছায় কৈকুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি, ইউপি সদস্যের হুমকি—ধামকি এবং একাই পরিষদ চালানোর অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করছেন ওই ইউনিয়নের ৮ ইউপি সদস্য। দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলা সীমাহীন এসব অনিয়মের প্রতিকার না পাওয়ায় মানববন্ধন এবং অনাস্থা প্রস্তাবের ঘোষণা দেন ওই ইউপি সদস্যরা।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ৮নং কৈকুড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আলম মিয়া স্থানীয় জাতীয় পাটির ইউনিয়ন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ইউপি সদস্যেদের পাশ কাটিয়ে একক আধিপত্য বিস্তার করছেন। তিনি ইউপি সদস্যেদের পরিষদে আসতে মানা করে একাই পরিষদ চালানো ঘোষনা দেন। তার বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে নিজের লোকদের সভাপতি বানিয়ে নামমাত্র কাজ করে পুরো টাকা আত্মসাত, হাট—বাজার উন্নয়নের টাকা, জন্মমৃত্যু নিবন্ধন সনদে অর্থ আদায়, হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়, চকিদারী ট্যাক্স আদায়, ট্রেড লাইসেন্সের টাকা এবং পরিষদের জায়গায় থাকা ২৬টি দোকান ঘর থেকে প্রতি মাসে ভাড়ায় আদায় করে আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও নাগরিক সনদপত্র দিতে ১০ টাকা করে আদায় করছেন বলে জানান ইউপি সদস্যরা। চেয়ারম্যান তার দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে ৩৩০টি রেশন কার্ড নিজের পরিচিতজনদের মাঝে দেন। যার বিষয়ে ইউপি সদস্যরা অভিযোগ দিলেও কোন কাজে আসেনি।
ইউপি সদস্য আফছার আলী বলেন, আমরা ১৮ মাস ধরে ইউপি অংশের কোন ভাতা পাইনি। চেয়ারম্যান সবকিছু নিজের মত করে চালাচ্ছেন। কোন সদস্যেকে তিনি ডাকেনও না, কোন বিষয়ে পরামর্শও করেন না। আমরা শুধু সরকার প্রদত্ত্ব ভাতা ছাড়া কোন কিছুই পাইনা।
অপর ইউপি সদস্য হাফেজ আহম্মেদ বলেন, আমরা কোন বিষয়ে চেয়ারম্যানের নিকট গেলে তিনি আমাদের ভয়ভীতি দেখান এবং আমাদের কাউকে দরকার নেই বলে জানান। তিনি একাই পরিষদ চালাবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। কোন সদস্য তার বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে হুমকি—ধামকি দেন এবং বহিষ্কারের ভয় দেখান। তার এসব অনিয়মের কথা বলতে গিয়েই মিজানুর রহমান নামে এক ইউপি সদস্য বহিষ্কার হয়েছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম মিয়া বলেন, কত অভিযোগ দেয়, দেক। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রশাসন যা ব্যবস্থা নিবে আমি মেনে নেব।
এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক সুমন ছুটিতে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, স্যার আসলে বলতে পারবেন।