বিরামপুরে জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বাশুড়ির পর্ণোগ্রাফি মামলা!
বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
বিরামপুর এক নারীর কন্যাকে প্রতারণা পূর্বক বিয়ের পর যৌতুক দাবি এবং অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকীর বিরুদ্ধে নিরুপায় শ্বাশুড়ি প্রতারক জামাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা ও পৃথক অভিযোগ দাখিল করে সুবিচার প্রার্থনা করেছেন
মামলা সুত্রে প্রকাশ, দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার খট্টা মাধাবপাড়া গ্রামের ওবাইদুল ইমর ছেলে মনিরুজ্জামান (৩০) নিজেকে অবিবাহিত ও নৌ—বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিরামপুর শহরের প্রফেরসর পাড়ার এক যুবতীকে গত ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ে করে। পরবতীর্তে ঐ স্ত্রী জানতে পারে যে, মনিরুজ্জামান একজন চাকুরিচ্যুত প্রতারক এবং তার আগের একাধিক স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। উপরন্ত প্রতারক মনিরুজ্জামান ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং টাকা না দিলে স্ত্রীর অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকী দেয়। পরবতীর্তে ফেসবুকে অন্তরঙ্গ ছবি পোষ্ট দিলে যুবতীর মাতা সাগরিকা ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর পর্ণগ্রাফি আইনে বিরামপুর থানায় জামাই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এছাড়া সংসার কালীন সময়ে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার সাগরিকার মেয়ে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর এফিডেভিট ও কাজী অফিসের মাধ্যমে মনিরুজ্জামানকে তলাক প্রদান করেছে।
এরপরও উক্ত মনিরুজ্জামান গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধায় প্রফেসরপাড়া জনৈক মনিরুলের দোকানের সামনে সাগরিকা ও তার মেয়েকে দেখত পেয়ে হাত ধরে টানা হেচড়া ও চড় থাপ্পড় মারে। এসময় সাগরিকা তার মেয়েকে বাঁচাতে গেলে সাবেক জামাই মনিরুজ্জামান তার হাতের ব্যাগ কেড়ে নেয়, যাতে ২১ হাজার ৯০০ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। এঘটনায় সাগরিকা আবারো বিরামপুর থানায় অভিযোগ করে প্রতারক জামাইয়ের কবল থেকে রক্ষা ও সুবিচার প্রার্থনা করেছেন।
অপরদিকে অভিযুক্ত জামাই মনিরুজ্জামান বলেন, তার বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে এবং তিনি হাজত খেটে জামিনে রয়েছেন। তালাকের বিষয়টি তিনি জানেন না।