ডোমারে গোপনে নিয়োগ পরিক্ষায় বানিজ্যের অভিযোগের তদন্ত শুরু
ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে বামুনিয়া এসসি উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপনে কর্মচারী নিয়োগ পরিক্ষায় ঘনিষ্ঠদের নিয়োগ দিয়ে ৬০ লক্ষ টাকা বানিজ্যের অভিযোগের তদন্ত বুধবার শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার বামুনিয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রনজিৎ অধিকারী (দিলীপ) মিলে গোপনে ৪টি পদে বিদ্যালয়ের কর্মচারী নিয়োগ বিঞ্জপ্তি প্রকাশ করে। এর মধ্যে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে ১ জন,অফিস সহায়ক পদে ১ জন,আয়া ১ জন, ঝাড়ুদার ১ জন, তাদের ২ জনের যোগসাজশে রেজুলেশনে অধিকাংশ কমিটির সদস্যেদের স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এরই মধ্যে গত ২৩.জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখ সকাল সাড়ে ছয়টায় প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক এবং কর্মচারীদেরকে মোবাইল ফোনে মৌখিক ছুটি প্রদান করেন। এবং একই দিনে সুকৌশলে প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সকাল সাতটায় বিদ্যালয়ে এসে প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শন বহি ও শিক্ষক - কর্মচারী হাজিরা বহিতে কোন মন্তব্য ছাড়াই স্বাক্ষর করার পাশাপাশি উক্ত প্রতিষ্ঠানে গোপনে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ গোপন সুত্রে খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়কে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করেন আপনি সকাল সাতটায় প্রতিষ্ঠানে কেন? এই প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে তড়িঘড়ি করে তিনি প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন।
বিষয়টি নিয়ে গত ২৮ জানুয়ারী ২০২৪ ইং তারিখ বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ও এলাকাবাসীর পক্ষে আলী হোসেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, পৌনা বাসপর সহ আরো অনেকে এলাকাবাসী কর্তৃক স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ করেন।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ লিখিত ভাবে অভিযোগ করার পাশাপাশি পরবর্তীতে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তার গৃহকর্মীকে আয়া পদে, প্রধান শিক্ষকের শ্যালকের ছেলেকে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে, সভাপতির ঘনিষ্ট বন্ধুর ছেলেকে অফিস সহায়ক পদে এবং প্রধান শিক্ষকের একান্ত আস্হাভাজন সহকারী শিক্ষক ( গনিত) দুলু বর্মন এর নিকট আত্মীয় কে ঝাড়ুদার পদে সর্বমোট আনুমানিক ৬০,০০০০/ (ষাট লক্ষ) টাকার নিয়োগ বানিজ্যের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানা জানি হলে তারা একেক সময় একেকটি বক্তব্য দেন যাহার মিল নেই।
এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখার সহকারী কমিশনার সায়ীদ মুহাম্মদ স্বাক্ষরিত তদন্তের জন্য উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার নিকট চিঠি প্রেরন করেন।
এবিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: নাজমুল আলম বিপিএএ বলেন, তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এনারা হলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম ও উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোজাম্মেল হক। তারা আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবেন।
এবিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ ( বুধবার) থেকে তদন্তের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুনানির জন্য নোটিশ দিয়েছি। সরেজমিনে যাব এবং সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে রির্পোট দাখিল করব।