২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ - ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ - 07 December, 2024

বিএনপি নেতা হত্যা মামলায়  গ্রেপ্তার ৩

আমাদের প্রতিদিন
8 months ago
165


লালমনিরহাট প্রতিনিধি :

লালমনিরহাটের বিএনপি-র অঙ্গ সংগঠন  স্বেচ্ছাসেবক দলের ইউনিয়ন সভাপতি ফেরদৌস আলমকে(৪৮) হত্যা মামলায় ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার(১৫ মার্চ) দুপুরে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওমর ফারুক।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, লালমনিরহাট পৌরসভার বালাটারী এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে মাসুম রেজা(৪০),  তার স্ত্রী সাবিনা বেগম লিপি(৩৫) ও একই পৌরসভার পশ্চিম হাড়িভাঙ্গা এলাকার মৃত আকুল হোসেনের ছেলে রিকশা চালক রফিকুল ইসলাম ওরফে ওয়াজ আলী(৪০)

এর আগে সোমবার(১১ মার্চ) সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নিজপাড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ফেরদৌস আলম সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কালমাটি আনন্দবাজার এলাকার নুরল হকের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নে বিএনপি'র কোন সভায় যোগদানের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন ফেরদৌস আলম। রাত গভির হলেও বাড়ি না ফেরায় ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পায় তার পরিবার। অবশেষে লালমনিরহাট শহরে খুজতে এসে শহরের প্রাণ কেন্দ্র মিশন মোড়ে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি পাওয়া গেলেও তার সন্ধান মিলেনি।

সোমবার(১১ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের নিজপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ফেরদৌসের  মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। সদর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আয়েশা ইসলাম বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সদর থানা পুলিশ এ মামলায় ৩জনকে গ্রেপ্তার করে জবানবন্দির জন্য আদালতে প্রেরন করেছেন।

তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানায়, গ্রেপ্তার সাবিনা বেগম লিপি'র সাথে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক ছিল নিহত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফেরদৌস আলমের। সেই সম্পর্কের জেরে  প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে দৈহিক সম্পর্কে জড়ানোর পরে বার্থরুমে হঠাৎ স্টোক করে মারা যান ফেরদৌস আলম। এরপর নিজেকে বাঁচাতে স্বামী মাসুম রেজা ও রিকশা চালক রফিকুলের সহায়তায় তার মরদেহ রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছে গ্রেপ্তারকৃতরা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, ফেরদৌস অভিযুক্ত প্রেমিকা লিপি'র বাড়িতেই মারা গেছেন এবং মরদেহ বাহিরে ফেলে রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন। তবে বিষক্রিয়ায় হত্যা না কি স্টোকে মৃত্যু তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করা হচ্ছে। আপাতত রিমান্ড চাওয়া হয়নি, প্রয়োজন হলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওমর ফারুক বলেন, আলোচিত ফেরদৌস হত্যা মামলায় ৩জনকে গ্রেপ্তার করে জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। জবানবন্দির আলোকে পরবর্তিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth