গঙ্গাচড়ায় মসজিদে সরকারি বরাদ্দের টাকা উধাও
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় একটি মসজিদ সংস্কারের জন্য সরকারি বরাদ্দের টাকা মসজিদে না দিয়ে ঈমামের সাক্ষর জাল করে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে । মসজিদের বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত ও জরিতদের শাস্তি চেয়ে গত (১৪ মার্চ) বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন মসজিদ কমিটি
মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) এর মাধ্যমে ২০২২-২৩ইং অর্থ বছরে উপজেলার জয়দেব বাইতুল আরশ জামে মসজিদ সংস্কার কাজের ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত ৫০ হাজার টাকার প্রথম ধাপের ২৫ হাজার টাকা পেলেও দ্বিতীয় ধাপের বাকি ২৫ হাজার পাননি তারা।
মসজিদ কমিটির সভাপতির ভাতিজা লোকমান হকিম জানান, ‘আমরা মসজিদের টাকার বিষয়ে অনেকবার পিআইও অফিসে গেছিলাম, ওখানকার লোকজন আমাদের পাত্তায় দেয়নি। তারা বলে আমাদের নাকি কেনো বরাদ্দ আসে নাই। গত বৃহস্পতিবার আমরা মসজিদ কমিটির লোকজন উপজেলা পিআইও অফিসে গিয়ে রাগারাগী করি তখন পিআইও অফিসের মাসুদ রেজিষ্টার খুলে দেখেন আমাদের ঈমাম সাহেবের সাক্ষর জাল করে কে বা কাহারা টাকা তুলে নিয়েছেন। পরে পিআইও অফিসের অফিস সহকারি মাসুদ রানা আমাদের কৌশলে বলেন, আপনারা আপনাদের চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন। পরে লিয়াকত চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করলে আমাদেরকে ১৫ হাজার টাকা দিতে চায় । বাকি ১০ হাজার টাকার কথা বললে তিনি বলেন ওটা মসজিদের লস । আমরা ১৫ হাজার টাকা নেই নাই এজন্য আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাই আমরা নিরুপায় হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এবিষয়ে গজঘন্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান লিয়াকত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমি কেন মসজিদ কমিটিকে টাকা দিতে চাবো। পিআইও অফিসের মাসুদ রানার ঝামেলা সে আমাকে বলেছে তাই আমি সমাধান করার চেষ্টা করেছি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসের অফিস সহকারী মাসুদ রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি এবিষয়ে কেনো সঠিক উত্তর না দিয়ে বলেন কালকে অফিস খোলা আছে আপনি অফিসে আসেন সাক্ষাতে কথা বলি। আর না হলে আপনি কখন সময় পান বলেন দেখা করি।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সজীবুল করিম বলেন, আমার সময়ের এসব প্রকল্প না। এ প্রকল্প হচ্ছে আগের পিআইও অফিসারের । ইউএনও স্যার আমাকে তদন্তর জন্য বলেছেন আগামীকালকে আগে তদন্ত করে দেখি তারপর আপনাকে জানাবো বিষয়টি ।
উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে তদন্ত করতে বলেছি । তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।