রংপুরের মর্ডাণ মোড়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ : আহত ৫-গ্রেপ্তার-২
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুর মহানগরীর মর্ডান মোড় এলাকার নিয়ন্ত্রণ ও গাড়ি থেকে উঠানো চাঁদার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে যুবলীগ নেতাকর্মীদের সাথে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মর্ডাণ মোড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে আবারও রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ হতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় ও পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, মর্ডাণ মোড়সহ পার্শ্ববতী এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সম্প্রতি সময়ে বেড়রোয়া হয়ে উঠেছে। এলাকা নিয়ন্ত্রণ, পরিবহনে চাঁদাবাজি ও জমি দখলসহ নানা রকম অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে। রংপুর মহানগর ও তাজহাট থানা আওয়ামী লীগের কতিপয় শীর্ষ নেতার আশ্রয়—প্রশ্রয়ে তারা এসব অপরাধ করছেন। তবে এই অভিযোগ নিয়ে কেউই মিডিয়ার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ২৩ সালের ১১ আগস্ট রাতে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক মোক্তারুল ইসলাম বাবুকে গাড়ি পার্কিং ও উঠানো চাঁদার ভাগবাটোয়ার নিয়ে মর্ডান মোড় এলাকায় কুপিয়ে আহত করা হয়। হামলার নেতৃত্ব দেন তাজহাট থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন এবং ১৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাব্বি হোসেন। বাবু গুরুতর জখম হলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ওই ঘটনার জের, মডার্ন মোড়ের নিয়ন্ত্রণ এবং চাঁদা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় যুবলীগ নেতা বাবুর নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিলন ও ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি হোসেন সমর্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় একটি দোকান ঘর ভাঙচুর করা হয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আমজাদ হোসেন, আখতারুজ্জামান ও আলতাব হোসেনসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার মর্ডাণ মোড়ের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এবিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) উৎপল কুমার জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।