প্রেমের ফাঁদে ফেলে বীরগঞ্জে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
প্রেমের ফাঁদে পড়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৬বছরের এক কিশোরী। এ ব্যাপারে ৩জনকে আসামী করে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে কিশোরীর বড় বোন । মামলার আসামীরা হলেন উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোঃ সবুজ ইসলাম (৩০), একই ইউনিয়নের প্রাণনগর দক্ষিণ রাজবাড়ী গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিব হোসেন (৩৫) এবং বীরগঞ্জ পৌর শহরের ৪নং ওয়ার্ডের ফুহাব মাষ্টারের ছেলে মোঃ রিসান আলী (৩২)।
ঘটনার পর কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে আদালতে জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে এবং ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, উপজেলার বাসিন্দা একটি কিশোরীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মামলার প্রধান আসামী মোঃ সবুজ ইসলামের । এরপর তারা নিয়মিত বিভিন্ন জায়গায় যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১জুন মঙ্গলবার দুপুরে মোঃ সবুজ ইসলাম বীরগঞ্জ পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের গোপালগঞ্জ সড়কে তার ভাড়া বাড়িতে কিশোরীটিকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা শারিরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। পরে মোঃ সবুজ ইসলাম কিশোরীটিকে ঘরে রেখে পানি নিয়ে আসার কথা বলে কৌশলে বাড়ীর বাইরে চলে যায়। এ সময় পাশের রুমে পুর্ব থেকে অবস্থান নেওয়া মোঃ সবুজ ইসলামের দু্ই বন্ধু রাকিব হোসেন এবং রিসান আলী কিশোরীটিকে জোড়পুর্বক ধর্ষণ করে। এরপর সবুজ ইসলাম ফিরে আসলে কিশোরী ঘটনাটি তাকে জানান। বিষয়টি দেখবো বলে আশ্বস্ত করে কিশোরীকে মটর সাইকেলে করে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায় সবুজ ইসলাম। পরে মেয়েটি থানায় এসে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নামে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাওয়ার পর ১২জুন বুধবার ৩জনকে আসামী করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে কিশোরীর বড় বোন। মামলা নম্বর—১২। তারিখ—১২/০৬/২৪ইং। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে তিনি আরও জানান।