চিলমারীতে পৈত্রিক সম্পতি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রায় ১৪ বছরের পুরোনো কবর ভেঙে ফেলার অভিযোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পৈত্রিক সম্পতি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রায় ১৪ বছরের পুরোনো একটি কবর ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ জুন) সকালে ১০ টার দিকে উপজেলা থানাহাট ইউনিয়নের গাবেরতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম এনামুল হক শাহিন। তিনি ওই এলাকার মৃত বজলুল হক চৌধুরির ছেলে। চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এনামুল হক শাহিন বলেন, আমি বাড়িতে না থাকায় তার চাচাতো ভাই নজরুল ইসলাম চাঁন পৈত্রিক জায়গায় টাকায় বিনিময়ে কবরস্থান করেছে।
জানা গেছে, গাবেরতল এলাকার নজরুল ইসলাম চাঁন চৌধুরির সঙ্গে চাচাতো ভাই এনামুল শাহিনের সঙ্গে চার শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শাহিন চৌধুরি দীর্ঘদিন এলাকায় ছিলেন না। প্রায় ৬ মাস আগে এলাকায় আসেন তিনি। সেই থেকে নজরুল ইসলাম চাঁনের উঠান দিয়ে চলাচল করতেন। গত মে মাসে নজরুল ইসলাম চাঁন তার উঠানে বাঁশের বেড়া দিলে এনামুল হক শাহিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শাহিন শনিবার সকালে তার লোকজন নিয়ে রাস্তা তৈরির জন্য কবরস্থানের ওয়াল ভেঙে ফেলেন তিনি।
মাসে তাদের বিরোধকে কেন্দ্র করে চৌধুরির বসতভিটার রাস্তা বন্ধ করে দেন নজরুল ইসলাম (চাঁন)। এ নিয়ে আজ শনিবার বিরোধ পূ্ণ জমিতে স্থানীয় এক বাসিন্দার কবরটি ভেঙে ফেলেন এনামুল হক।
প্রত্যক্ষদর্শী আবু সাইদ বলেন, সকাল ১০ টার দিকে শাহিন চৌধুরি কয়েকজন লোক নিয়ে কবরের ওয়াল ভেঙে ফেলে।
থানাহাট ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, আমি যাওয়ার পথে লোকজনকে দেখতে পাই। পরে দাঁড়িয়ে জানতে পারি কবরের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে।
অভিযুক্ত এনামুল হক চৌধুরী শাহিন জানান, তিনি কবরের দেয়াল ভেঙে ফেলেননি। তবে টাকার বিনিময়ে চাচাত ভাই নজরুল ইসলাম চাঁন পৈত্রিক ভিটায় অন্যের কাছে কবরের জায়গা বিক্রি করছে।
নজরুল ইসলাম চাঁন জানান, দেনার দায়ে এনামুল হক শাহিন প্রায় ৪০ বছর ধরে এলাকায় নাই। সে আসার পরে বসত বাড়ি নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি করেন। পারিবারিকভাবে বসে আমরা তাকে চলাচলের জন্য রাস্তা দেই। পরে নানান কারণে সেই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আজ রাস্তার জন্য কবরস্থানের ওয়াল ফেঙে ফেলেছে। এটা নিয়ে প্রতিবাদ করার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১৫ থেকে ২০ জন লোকসহ আমার বাড়িতে হামলা করে।
চিলামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি সুষ্ঠু রয়েছে।