‘গরু ও মাদক’ রেট বাড়িয়ে টাকা নেন ওসি বললেন সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

রৌমারী সীমান্ত চোরাচালান
সাখাওয়াত হোসেন সাখা, রৌমারী (কুড়িগ্রাম):
কুড়িগ্রাম— ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, ‘এ অঞ্চল মাদকের এক সময় সা¤্রাজ্য ছিল। আমার সময় বিজিবিরি ডিজিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নিয়ে সচেতনতা মাধ্যমে মাদক নিয়ন্ত্রণ কিছুটা কমিয়ে এনেছি। এখন মাদক নদী পথ দিয়ে ছোট ছোট (ডিঙি) নৌকাগুলোতে করে মাদক উলিপুরের বিভিন্ন চরে আসে। পরে চরগুলো থেকে মাদক আবার রৌমারী এলাকায় আনছেন। মাদকের কামলা (মাদক আনা নেওয়া শ্রমিক) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও মাদকের গডফাদাররা ধরা পড়েন না কেন। এসব গডফাদাররা ইদানিং থানার বারান্দায় দেখা যায়। পাশাপাশি দারোগাদের ঘাড় ধরে বেড়ান। এতে দৃষ্টিকটু হয়।
লক্ষ্য করেছি এখানে চুনোপুঠিদের গ্রেপ্তার করা হয়। কারা হন্ডি ব্যবসা করছেন সবাই জানে কিন্তু বলেন না। তাই বলছি সাহস থাকলে আমাকেও গ্রেপ্তার করবেন যদি আমি জড়িত থাকি।’ শনিবার (২২ জুন) বিকেলে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, গরু আসে নদীপথে, ‘গরু আসে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে আড়কি (বাঁশের তৈরির) মাধ্যমে। মাথা প্রতি গরু’র টাকা নেয় কে এবং কে খায়। আগের ওসির এক রেট ছিলো, এই ওসি (আব্দুল্লা হিল জামান) এসে রেট বাড়ায় দেন।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, ভাইস চেয়ারম্যান সামসুল দোহা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ উদ্দীন মিয়া, রৌমারী থানার তদন্ত ওসি মুশাহেদ খান, রৌমারী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) রাজু আহমেদ খোকা, বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সরকার, রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও সাংবাদিক প্রমুখ।
‘গরু ও মাদক’ বিষয়ে সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়টি জানতে চাইলে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক পুলিশ কখনও সীমান্ত চোরাচালান কিংবা অন্য কোন উপায়ে টাকা নেয় না।’