৩০ আষাঢ়, ১৪৩২ - ১৪ জুলাই, ২০২৫ - 14 July, 2025

কাউনিয়ায় মানাস নদীতে ভেঙে গেছে বাঁশের সাঁকো: দুর্ভোগে কয়েকশ পরিবার

আমাদের প্রতিদিন
1 year ago
251


মিজানুর রহমান, কাউনিয়া, রংপুর:

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ২ নম্বর হারাগাছ ইউনিয়নের পুর্বনাজিরদহ গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ১৪০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোটি পানিতে ভেঙে গেছে। ১৮ জুন ঈদের পরদিন (মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে প্রবল বর্ষণে এবং  উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে তিস্তার শাখা মানাস নদীতে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নদীর দুইপাড়ের কয়েকশ পরিবারের মানুষ।

পুর্বনাজিরদহ গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলী, রুমেল মিয়া জানান, গত সপ্তাহে টানা কয়েকদিন রাতভর বৃষ্টির ফলে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সাঁকোটি ভেঙে যায়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী লোকজন স্কুলে ও কর্মস্থলে যেতে পারছে না। তারা বলেন, প্রায় কুড়ি বছর আগে দুইপাড়ের মানুষ নৌকায় পারাপার করতো। লোকজনের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় তৎকালীন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাঁশের সাঁকোটি তৈরী করে দেয়। সাঁকোটি ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পরলে তিস্তার শাখা মানাস নদীতে একটি স্বল্প প্রস্থ্যের সেতু নির্মাণের দাবী এলাকাবাসীর। এ অবস্থায় গতবছর উপজেলা পরিষদ থেকে ঝুঁকিপুন সাঁকোটির পাশেই একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কাঠের সাঁকোটির দুইপাড়ে প্রায় ৬০ ফুট নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। অদ্যাবধি তা নির্মাণ করা হয়নি। সাঁকোটি নদীর মাঝখানে পড়ে থাকার ফলে পারাপারে কোন কাজে আসছে না। আমরা নতুন সাঁকোটির অসমাপ্ত কাজ দ্রুত নির্মাণ করার দাবি জানাই।

রোববার বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, তিস্তার শাখা মানাস নদীতে নরবরে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পানিতে পড়ে আছে। বিকল্প পথ না থাকায় লোকজন ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে।

পুর্বনাজিরদহ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মমিন বলেন, নদীর উত্তর পাড়ে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার বসবাস করে। এক সপ্তাহ ধরে জীবনের ঝুকি নিয়ে মানুষ ভেঙে পড়া দিয়ে পারপার করছে। সংস্কারের উদ্যোগতো দুরের কথা, এখন পর্যন্ত কেউ খেঁাজও নিতে আসে নাই।

কৃষক আজিজ বলেন, স্থানীয় কৃষকের জমি রয়েছে উভয় পাশে। সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ফসল আনতে নদী পার হতে কষ্ট করতে হয়। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে লোকজন উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছে হচ্ছে।

নদীর উত্তর প্রান্তের বাসিন্দা হামিদা বেগম বলেন, বাঁশের সাঁকোটি নরবরে হওয়ায় তাদের শিশুরা স্কুলে যেতে ভয় পেত। সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না।

এদিকে হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ বলেন, বাঁশের সাঁকোটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছিল। সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। ভেঙ্গে পড়া সাঁকোটির পাশে নির্মিত কাঠের সাঁকোটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বার বার তাগিদ দেওয়া হয়েছিল।

যোগাযোগ করা হলে কাউনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমী বলেন, তিস্তার শাখা মানস নদীর ওপর কাঠের সাঁকোর অসমাপ্ত নির্মান কাজের একটি প্রকল্প পাস হয়েছে, শিগগিরই তা নির্মাণ করা হবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth