পীরগাছায় বিদ্যুতের ভেলকিবাজী: গ্রাহকদের মানববন্ধন

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি:
মধ্যে আষাঢ়েও বৃষ্টির দেখা নেই। গত কয়েক দিন থেকে তীব্র দাবদাহে পুড়ছে পীরগাছা উপজেলার মাঠঘাট। প্রচন্ড গরমের কারণে সাধারণ মানুষ আর পশু-পাখিরা হাপিয়ে উঠছে। এ অবস্থায় বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিং এর কবলে অসহায় হয়ে পড়েছে পীরগাছার মানুষ। দিনে এবং রাতে ৪০ মিনিট পর পর দেয়া হচ্ছে লোডশেডিং। ফলে ঘনঘন লোডশেডিং, লো-ভোল্টেজ আর জুন ক্লোজিং এর নামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার সকালে মানববন্ধন করেছে পীরগাছা উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারের দুই শতাধিক মানুষ। স্বপ্নের সিড়ি সমবায় সমিতি ও স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বকেয়া বিলের নামে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণের প্রতিবাদ জানানো হয়।
ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, অটো চালক বেলাল হোসেন, মীর কাশেম, অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা লন্টু মিয়া, পল্লী চিকিৎসক নাজমুল হক, মোফাজ্জল হোসেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ, আসাদুল ইসলাম, জাকির হোসেনসহ অনেকে।
জানা গেছে, রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পীরগাছা জোনাল অফিসের আওতায় ৬০ হাজারের অধিক গ্রাহক রয়েছে। এসব গ্রাহকেকে ৬টি ভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদা সংযোগ তৈরি করা হয়েছে। এসব গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৭ মেগাওয়াট। আর বর্তমানে প্রতিদিন বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭ মেগাওয়াট। ফলে দিনে এবং রাতে ৪০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা করে লোডশেডিং দিচ্ছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।
পীরগাছা বাজারে ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, আষাঢ় মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। অথচ বৃষ্টির দেখা নেই। এদিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজীতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় ব্যবসায় মন্দা ভাব তৈরি হয়েছে।
কান্দি বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ যাওয়া আসার মধ্যে রয়েছে। ফ্রিজে রাখা মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠছে সাধারন মানুষ।
পীরগাছা বাজারের অটো চালক রবিউল ইসলাম বলেন, গাড়ীতে চার্জ হচ্ছে না। তাই গাড়ী বের করতে পারিনি। ফলে আজকের রোজগার নেই। তিনি আরো বলেন, আকাশে মেঘ দেখলে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়। দীর্ঘক্ষনও বিদ্যুৎ আসার খবর থাকে না। আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ মহাবিপদে রয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর (উপ-ব্যবস্থাপক) ডিজিএম নুরুল ইসলাম হুদা বলেন, আমরা ইচ্ছা করে বিদ্যুৎ বন্ধ করি না। আমাদের চাহিদা ১৭ মেগাওয়াট, আর বরাদ্দ পাচ্ছি মাত্র ৭ মেগাওয়াট। তাই বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।