লালমনিরহাটে সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি’র বিরুদ্ধে গাছের চারা তুলে ফেলার অভিযোগ, গ্রেফতার ২

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে রোপনকৃত গাছের চারা উপরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া ওরফে সবুজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় টংভাঙ্গা ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সবুজকে প্রধান আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করেছেন পুলিশ। এর আগে বুধবার ভোরে উপজেলা টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুুকুড়ি এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার টংভাঙ্গা ইউপির গেন্দুকুড়ি এলাকার বেলাল ভুইয়ার ছেলে ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সবুজের আপন ভাই মোশারফ ভূইয়া(৩৭) ও ইকবাল ভূইয়া(৩০)।
এছাড়া অপর অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া (৩৩) ও তার ভাই মিজানুর রহমান ভূইয়া(২৭)সহ আরও অনেকে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী মামুন ভূইয়ার বাড়ির পাশে ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলমের নিজ নামীয় জমি রয়েছে। ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম কর্মসূত্রে বাইরে থাকায় সেই জমির দেখা শুনা করেন ভুক্তভোগী মামুন ভূইয়া। সেই জমির আইল দিয়ে বেশ কয়েকটি মেহগনীর চারা রোপন করেন মামুন ভূইয়া। এমতাবস্থায় পূর্ব শত্রুতার জেড়ে অভিযুক্ত সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সবুজ ও তার লোকজন সেই রোপন করা চারা গাছ গুলো উপরে ফেলে দেয়। পরে এ ঘটনায় ঘটনার পর পরেই মামুন ভূইয়া বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোশারফ ভূইয়া(৩৭) ও ইকবাল ভূইয়া(৩০) নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন সেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়ার মোবাইল নম্বরে একাধিক বার কলা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী কাওসার মামুন ভূইয়া বলেন, ওই জমিটি আমার ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলমের। তিনি বাইরে থাকায় সেই জমিটি আমরা দেখাশুনা করতেছি। এছাড়া অভিযুক্তদেও সাথে পূর্ব থেকে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। অভিযুক্ত সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সবুজ দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জমি দখর করতে চায়। এছাড়া সে ঘটনার দিন জোড় পূর্বক লোকজন নিয়ে এসে মেহগনী গাছের চারা উপরে ফেলে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানাই।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সবুজসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।