২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ - ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ - 06 December, 2024

চিলমারীতে আবারও বেড়িবাঁধের ধস, বাধ ঠেকাতে চলছে কাজ

আমাদের প্রতিদিন
5 months ago
124


হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম):

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে, গত বারের স্থানে আবারও হঠাৎ করে ওয়াপদা বেড়িবাঁধ পিচিং ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গতকাল সকাল থেকে  উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সড়কটারী গ্রামের সামনে প্রায় ৩০/৪০ মিটার অংশ জুড়ে রাস্তার পিচিং ধসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপজেলা এসও মোঃ শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেন। তিনি জানান , কয়েক দিনের লাগাতার পানি বৃদ্ধির কারণে ব্রহ্মপুত্র ফুঁসে উঠছে। গত কয়েক বছর প্রকল্প এলাকা থেকে কিছুটা দূরে থাকলে ও চলতি বছর ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবাহ চিলমারী অংশে ডান তীরের নিকটবর্তী চলে এসেছে। তীরের কাছে নদের গভীরতা আকস্মিক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কাঁচকোল এলাকায় তীর রক্ষা বাঁধের ৩০/৪০ মিটার অংশে গতকাল থেকে হঠাৎ করে ৩/৪ স্থানে ধসের দেখা দিয়েছে। রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বাঁধটি রক্ষা করতে না পারলে আমার ইউনিয়নের অ‌র্ধেক এলাকাসহ থানাহাট ইউনিয়নের ও কিছু ওয়ার্ড ঝুঁকিতে পড়বে বলে জানান তিনি। বাড়ীভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে বা‌সিন্দারা একে বারে নিঃস্ব হয়ে যাবেন। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান  জানান, হঠাৎ করে ধস দেখা দেওয়ায় ওই অংশে আজ সকাক থেকে বালু ভর্তি করা হচ্ছে  জিও ব্যাগ। আজকে কিছু ব্যাগ ডাস্পিং করা হবে। এবং ঝুঁকি কমাতে আগামীকাল আবারও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ চলবে।  তিনি আরও বলেন, ধস ঠেকাতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখা হবে। আশা করছি ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব হবে। ত‌বে আমরা আশা কর‌ছি ঝুঁ‌কিমুক্ত কর‌তে সক্ষম হ‌বো। ভাঙ্গন ঠেকাতে যত বস্তা  জিও ব্যাগ লাগে আমরা তা দিতে প্রস্তুত আছি। এ দিকে এলাকাবাসী মোঃ আঃ বারী (ফুল মিয়া), আঃ আহাম্মদ আলী ও হাজেরা বেগমসহ আরও অনেকে বলেন, গত বারেও একই জায়গায় ভাঙ্গি গেইচে, তবে সঠিক সময়ে বস্তুা ফেলার কারণে ভাংগা থাকি রক্ষা পাইছি। কিন্তু যেখানে ভাংছে যেখানে শুধু বস্তুা দিয়েছে, তার আশেপাশে কোন বস্তুা দেওয়া হয় নাই, যদি বস্তুা দিলে হয় তাহলে আর ভাংগিল না হয়। তিনি আরও বলেন যদি রাস্তা ভাংগি যায় তাহলে প্রায় ৩০-৫০টি পরিবারসহ প্রায় ৩০-৪০ একর আবাদি ফসলি জমি একেবারে ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের আবাদ করার মত কোন আবাদি জমি-জমা থাকবে না। তাই আমরা আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে দাবি করছি, আমাদের বাঁধের রাস্তাটা তারাতাড়ি ভালো করি দিন। তারা আরও বলেন সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে পদক্ষেপ না নিলে যে কোন মহুর্তে বাঁধের রাস্তা ভাংগি গিয়ে আমাদের জিবনে কাল হয়ে দাড়াবে বলে জানান এলাকাবাসী।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth