গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে
গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। উপজেলার নদীর তীরবর্তী ৭ টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় আড়াই হাজার পরিবার।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৬টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর পরবর্তী ৭ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিকেল ৩টায় বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে উপজেলার নোহালী, আলমবিদিতর,কোলকোন্দ, লহ্মীটারী, গজঘন্টা, মর্ণেয়া ইউনিয়নের তিস্তা নদীর নিম্নাঞ্চলের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় রংপুরে ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের তথ্য জানিয়েছে রংপুর আবহাওয়া অফিস।
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজীবুল করিম জানান, উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে আড়াই হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে নোহালী, কোলকোন্দ, লক্ষীটারী, গজঘণ্টা ও মর্নেয়া ইউনিয়নে পানিবন্দি বেশি। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাদের মাঝে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উত্তরাঞ্চল ও এর উজানে আগামী ২৪ ঘন্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এতে করে তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তিস্তা নদীর কিছু পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।