৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ - ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ - 20 February, 2025

কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

আমাদের প্রতিদিন
7 months ago
222


দিনাজপুর প্রতিনিধি:

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলসহ ৪ দফা দাবিতে প্রায় দেড় ঘন্টা দিনাজপুর—রংপুর  মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দিনাজপুর—রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। অবরোধের ফলে মহাসড়কের উভয় পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১ টার দিকে অবরোধ তুলে নিয়ে যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হয়।

মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা ‘কোটা প্রথা কোটা প্রথা—মানি না মানব না’, ‘কোটা প্রথা বাতিল কর—করতে হবে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়—বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই' সহ কোটা পুনর্বহালের বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথা কবর দে সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মানিক বর্মন বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্করণে আন্দোলনের ফলে যে ইতিবাচক পরিবর্তন আমরা পেয়েছিলাম সেই কোটা ২০২৪ সালে আবার ফিরিয়ে আনা হয় তাই এরই প্রেক্ষিতে সাধারণ ছাত্রসমাজ আবার গর্জে উঠে এবং এই কোটা যতদিন পর্যন্ত  সংস্কারের কোন ফলাফল আমরা না পাচ্ছি ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি চলতেই থাকবে। আমরা জানি আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন বৈষম্য মুলক বাংলাদেশ চায় নাই,কিন্তু বর্তমানে কোটা নামক এক প্রথা চালু করে আমাদের সাধারণ ছাত্রসমাজের সাথে যে বৈষম্য তৈরী করেছে এটা আমরা সহজে মেনে নিবো না।

ব্যাবস্থাপনা বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুজন রায়  বলেন, ‘বৈষম্যমূক কোটা একটি দেশের জন্য অভিশাপস্বরূপ। যেখানে মেধার ভিত্তিতে মেধাবীদের চাকুরী হয়না, সেখানে অমেধাবীদের দখলে চলে যাচ্ছে কর্মক্ষেত্রগুলো। প্রকৃত মেধাবী ও গরীব শিক্ষার্থীরা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই কোটা পদ্ধতি চালু থাকলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংস ডেকে আনবে, দেশ মেধাশূন্যতায় ভূগবে।’

বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সানজিদা রিপা বলেন, চাকুরী ও ভর্তি পরীক্ষাসহ সবখানে কোটার ছড়াছড়ি। মেধাবীদের বঞ্চিত করে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই, ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রেখে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকুরীতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে এর সংস্কার করতে হবে

ইংরেজি বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মো. শাকিল হাসান বলেন, আমার আন্দোলনে আসার ২টি  উদ্দেশ্য।  প্রথমত  মুক্তিযুদ্ধ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে, তাদের ত্যাগকে সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক এবং জাতিগত দায়িত্ব।  তারা এদেশকে বৈষম্যমুক্ত করার জন্য নিজেদের জীবন বাজি পর্যন্ত রেখেছেন। সেই বৈষম্য আবার এই বাংলায় ফিরে আসুক এটা কখনোই কাম্য নয়।দ্বিতীয়ত যেহেতু বাংলাদেশের চাকরি বাজারে পর্যাপ্ত আসন নেই, সেহেতু এখানে সর্বোচ্চ মেধাবীদের মেধা এবং পরিশ্রমকে যোগ্য মূল্য দিতে না পারলে জাতি হিসেবে আমরা মেধাহীন হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। কোটার গোড়াকলে পড়ে যোগ্য মেধাবীরা বঞ্চিত হতে পারে না এই সোনার বাংলায়। কোটা সংস্কার করা হবে দ্রুত সময়ে এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

 

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth