চিলমারীতে বন্যার্তদের অনুদানের টাকা ভাগাভাগির অভিযোগ
![](https://www.amader-protidin.com/asset/postpic.png)
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যার পানিতে পানিবন্ধি কিশোরীদের জন্য দেয়া অনুদানের টাকা ভাগাভাগি করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ওই ইউপি সদস্য তার এলাকার বিভিন্ন ব্যাক্তির মাধ্যমে সুবিধাভোগী কিশোরীদের নিকট থেকে এসব টাকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। ঘটনাাট ঘটেছে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল নয়ারহাট ইউনিয়নে।
জানা গেছে,চলমান বন্যায় পানি বন্দি হয়ে পড়া পরিবারে থাকা কিশোরী মেয়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য রোববার জন প্রতি ২হাজার ৫০০করে টাকা বিতরণ করে সি ডব্লিউ এফ ডি নামের একটি সংগঠন। টাকা বিতরণের সময় সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে ১হাজার টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়রা জানায় এলাকার হালিমা খাতুন নামে এক ছাত্রীর সহায়তায় ইউপি সদস্য আ.সাত্তারের বাড়ীতে এসব টাকা লেনদেন করা হয়। অনুদানের টাকা দেয়ার সময় স্থানীয় শওকত আলী নামে ১যুবকের সহায়তায় ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে জন প্রতি ১হাজার টাকা করে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ওই এলাকার সুবিধাভোগী কিশোরী আইরিন আক্তার,মুনতাহা খাতুন ও লিলি খাতুনসহ অনেকে জানায় তাদের টাকা দেয়ার সময় স্থানীয় শওকত আলী তাদের নিকট থেকে ১হাজার টাকা করে নেয়। কিশোরী সুমি আক্তার,নদী আক্তার ও মাসুমা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন কিশোরী জানায় তালিকায় তাদের নাম থাকলেও তারা টাকা পায়নি।অপরদিকে এক কিশোরীর হাতে কয়েকজনের টাকা দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।অনুদান প্রদানের তালিকায় নাম থাকা কড়াইবরিশাল এলাকার ১৫/২০জন নারী সোমবার ওই এলাকায গিয়ে হালিমা খাতুন ও আব্দুস সাত্তার মেম্বারের বাড়ীতে তালা ঝুলতে দেখে ফিরে যাওয়ার কথা জানা গেছে।
এদিকে অনুদানের অর্থ বিতরণের সাথে জড়িত স্থানীয় কারো কাছ থেকে সি ডব্লিউ এফ ডি নামের সেই সংগঠণের কোন পরিচয় কিংবা কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে কিছু জানা য়ায়নি।
অনুদানের অর্থ বিতরণে সংশ্লিষ্ট হালিমা খাতুন জানান,তিনি কোন চাকুরি করেননা।সি ডব্লিউ এফ ডি নামের একটি সংগঠন থেকে দুইজন এসে তালিকা অনুযায়ী ২হাজার ৫শত টাকা বিতণের কথা জানান। তাদের দেয়া তালিকা মোতাবেক আমি কিশোরীদের মোবাইল করে ডেকেছি মাত্র। তারা জন প্রতি আড়াই হাজার টাকা করে পেয়েছে,এর বেশী আমি আর কিছু জানিনা।
কিশোরীদের অনুদানের টাকার বিনিময়ে উৎকোচ আদায়কারী শওকত আলী জানান,সাত্তার মেম্বার আমার নিকট থেকে কয়েকটি নাম চেয়েছিল। আমি ৫টি নাম দিয়েছিলাম। ওই ৫জনের নিকট থেকে জন প্রতি ১হাজার টাকা করে নিয়ে আমি সাত্তার মেম্বারকে দিয়েছি,আর কিছু জানি না।
নয়ারহাট ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মো.আব্দুস সাত্তারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা—পয়সা নেইনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মিনহাজুল ইসলাম জানান,বিষয়টি আমার জানা নেই। কে বা কাহারা টাকা বিতরণ করেছে, তারা আমাকে জানায়নি।