১১ চৈত্র, ১৪৩১ - ২৫ মার্চ, ২০২৫ - 25 March, 2025

ক্ষতিপুরনের দাবীতে বড়পুকুরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২টি গ্রামের মানুষের মানববন্ধন

আমাদের প্রতিদিন
8 months ago
172


দিনাজপুর প্রতিনিধি:

ক্ষতিপূরণসহ ৬দফা দাবীতে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি এলাকায় মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার সকাল ১১টায় পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া বাজারে জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির আয়োজনে খনি এলাকার ১২টি গ্রামের ১০ হাজার ৪‘শ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতিপূরণের দাবীতে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ভু—অভ্যন্তর থেকে কয়লা উত্তোলনের ফলে জমি দেবে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এসব পরিবার।

মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন, হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জীনব ও সম্পদ রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা  আলহাজ¦ রেজওয়ানুল হক,উপদেষ্টা লিয়াকত আলী, জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ সভাপতি রুহুল আমিন, ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের, ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম, মতিয়ার রহমান সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

হামিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ রেওয়ানুল হক বলেন, কয়লা খনি কারণে প্রায় এক যুগ ধরে এই এলাকার ১২টি গ্রামের ১০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ১২টি গ্রামের কয়েক’শ বাড়ী ঘরে ফাটল দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলো সার্ভে করার পরেও খনি কতৃর্পক্ষ ক্ষতিপূরণ দিব দিচ্ছি করে তালবাহানা করছে। এখন পর্যন্ত কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে খনি কতৃর্পক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে গ্রাম গুলির কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা সঠিক ভাবে তদন্ত করছে না। তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। যে সকল পরিবার কয়লাখনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমরা তাদের দ্রুত ক্ষতিপূরন দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।

মানবন্ধনের জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের ৬ দফা দাবীর মধ্যে, সার্ভেকৃত বসতবাড়ীর ক্ষতিপূরণের টাকা দ্রুত প্রদান করতে হবে। মসজিদ, কবরস্থান সহ অধিগ্রহনকৃত জমির বকেয়া টাকা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। জনসাধারণের চলাচলের জন্য বৈদ্যনাথপুর থেকে বৈগ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটি পূর্বের ন্যায় পাকা করে দিতে হবে। সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় যোগ্যতা অনুযায়ী ঘর ঘর চাকুরী দিতে হবে। কয়লা খনি কতৃর্ক সৃষ্ট পানিয় জলের সংকট দ্রুত নিরসন করতে হবে। অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন বা বসবাসের অওযাগ্য বসতবাড়ী ও স্থাপনার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।

কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, কাজীপাড়া, বাঁশপুকুর, মথুরাপুর, বৈদ্যনাথপুর, শিবকৃষ্ণপুর, পাতিগ্রাম, পাঁচঘরিয়া, চৌহাটি, কালুপাড়া, গোপালপাড়া, কাশিয়া ডাঙ্গা ও বৈগ্রামসহ ১২টি গ্রামে ১০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারি না। প্রচন্ড ঝাকুনি এবং কাপুনি হয়। ক্ষতিপূণের দাবীতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে ন্যায্য পাওনা দাবী করছি। ১৫ দিনের মধ্যে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি কতৃর্পক্ষ দাবী না মানলে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রযোজনে খনির গেট ঘেরাও করা হবে।

এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সার্ভে কমিটি গঠন করা হয়েছে, এই কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে তালিকা তৈরি করছে। তালিকা চূড়ান্ত হলেই শিঘ্রই ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।

 

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth