রৌমারী সীমান্তে চোরাকারবারির হামলায় আহত ১

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে চোরাচালানের তথ্য দেয়ার অপবাদে চোরাকারবারিদের হাতে মগল হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি হামলার শিকার হয়েছেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে গুরুত্বর অবস্থায় রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় অভিযোগের তিন দিনেও মামলা হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার দুপুর ২ ঘটিকার সময় উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের চরইটালুকান্দা সীমান্তে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন মগল হোসেন। এক মাস পূর্বে বিজিবি আমার নৌকা দিয়ে ভারতীয় ৮ টিগরু, ২টি মহিষ ও মাদকসহ কিছু মালামাল আটক করে চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ঘটনার দিন রৌমারী বাজার করার উদ্দে্যাশে চরইটালুকান্দা নতুন বাজার কাছে আসা মাত্র ওৎ পেতে থাকা চোরাকারবারির একটি সংঘবদ্ধ দল দেশিয় অস্ত্র দিয়ে মগল হোসেন ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধরক মারপিট করে, গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করেন এবং ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হামলাকারীরা (চোরাকারবারিরা) ছিনিয়ে নেন। এঘটনায় মগল হোসেন বাদি হয়ে সুজন মিয়া (২৭), মঞ্জরুল হক (৩০), আক্কাছ আলী (৩০), মঞ্জু মিয়া (৪০), শুক্কুর আলী (৪০), নজরুল ইসলাম (৪০) ও রানা মিয়া (২৭)সহ ৭জন চোরাকারবারিদের নাম উল্লেখ রৌমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এঘটনায় অভিযোগ দায়েরের তিন দিনেও মামলা রেকর্ড না করে পুলিশ গড়িমসি করছেন বলে অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার মগল হোসেন।
তবে হামলাকারী সুজন মারপিটের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার পিতা ইব্রাহিম বন্দক রাখা জমির টাকা নিয়ে ষ্টাম্প (চুক্তিনামা) ফেরত দেয়নি মগল। ঘটনার দিন এনিয়ে আমরা তাকে মারপিট করেছি। তবে আমরা চোরাকারবারির সাথে জড়িত নই এবং কোন টাকা ছিনতাই করেনি।
এ ব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পেলে আইননানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।